১৯
দৃশ্য পালটিয়ে গেলো। যখন কাড়া একজন সুন্দরী প্রতিবেসি হয়ে ছিল। নিশি সবসময় সাইকেলে স্কুলে রওনা দেওয়ার সময় ওই সুন্দরী মহিলাকে সবসময় সালাম দিয়ে চলে যেত। সে সবসময় অদৃশ্য হয়ে করিমের খুনের জায়গাতে নিশির পীছনে পীছনে যেত।
দৃশ্য আরেকটি পালটিয়ে গেলো। সেখানে করিম গাড়ী চালাচ্ছিল। দৃশ্য ছিল মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের নিউ ইয়র্ক এর পারাতে। ছিল বৃষ্টি। করিম গাড়ী চালাচ্ছিল। সামনে দাড়িয়েছিল ওয়াহীদের বাইক। বাইকে লাগানো ছিল হেডলাইট। করিম গাড়ীর থেকে বের হল। চমকে গেলো সে করিম।
"কি রে করিম? আমাকে পুলিশের পোশাক দেখে কি হিংসে লাগছে? পালাবি কোথাই? এখন তো মরন ছাড়া উপাই নেয়" অট্টহাসি দিয়ে বলল ওয়াহীদ।
করিম সাথে সাথে দৌড়াতে লাগলো। সাথে কালো ধোঁয়া হয়ে ধাওয়া দিলো। রাস্তার 'ডেড ইন্ড' এ চলে গেলো। সাথে, পিশাছায়া এসে তার গোলা টিপে দিয়ে রক্ত চুষল। পিশাছায়া তাকে মেরে ফেলে, তার পীঠের থেকে রক্ত বের হল। সাথে পার্কের মাটিতে রক্ত নেমে রক্তে লেখা ছিল 'শান্তিপারা বিপদে আছে! সাবধান!'
নিশি যখন খুনের জায়গায় গেলো, তখন এক মানসিকভাবে অসুস্থ লোক, হ্যান্ডবোর্ড নিয়ে বসে ছিল। নিশি দেখে ভয় পেয়ে পালিয়ে গেলো। কিন্তু সে জানতো না যে ওই বয়স্ক লোকটি ক্যাপ্রেন ছিল।
তারা প্যেন্সিভ থেকে ফিরে এলো।
"এখন আমি সব বুঝে গেলাম। সবই স্পষ্ট। কি ছিল না? এক্সান, ড্রামা, সাস্পেন্স,রম্যান্স! প্যান্সিভের চেয়ে পুরা একটি মুভির ফ্ল্যাশব্যাকের মতো গেলাম!" বলল নিশি।
"তোমার রসিকতা, একদম তোমার দাদার মতো। তোমার দাদা বেঁচে থাকলে, তোমাকে সাব্বাসি দিত" বলল আব্দুল।
সবাই অনেক দিন পর খুলে হাসল।
আব্দুল এবং নিশি ছাড়া সবাই গুহার ভিতরে চলে গেলো। তারা তলওয়ার যুদ্ধ এবং শক্তি কাবু করতে শিখেছিল।
সেহারা, তাদের প্রশিক্ষন দেখলো। তারা মন দিয়ে প্রশিক্ষন নিচ্ছিল। অন্যরাও বানরের সাথে তলওয়ার নিয়ে যুদ্ধের প্রশিক্ষন নিচ্ছিল। এই মাঝে, সাবু দেখলো আকাসের নর্থারন লাইটস । সাবু 'বানরের বৈঠক' এ চলে এলো। সব বানরেরা তাদের নিজের কাজ করছিলো। তাই একটি বড় হুংকার দিয়ে সবাইকে নীরব করালো।
YOU ARE READING
শান্তিপারা সমগ্র (Peaceland Trilogy Bangla Edition)
Fantasy1- বনের ডাক জীবনে কিছু বিষয় আছে যেমন ভালোবাসা ও অহংকার। এই দুই অনুভুতিকে আমরা ভাগ করতে পারি না কারণ আমাদের মতো মনুষ্য প্রাণীতা কিছুটা বিচিত্র ধরণের। আমি, আজকে যে বিষয় নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি সেটা নিয়ে আমার মনে নানা রকম প্রশ্ন তৈরি হয়। আমরা, মানুষের মতো...