১১

1 0 0
                                    


আব্দুল এবং যুবা লাফ দিয়ে স্মৃতির গোলির ভিতরে ঢুকল। তাদের শরীর অদৃশ্য ও স্বচ্ছ হয়ে গেলো। একটু একটু করে স্পষ্ট দেখতে লাগলো যেটা পরিচিত অইতিহাস্যিক জায়গা। ছিল ঐখানে রাজবাড়ি, সেটা হেয়া অনেক বার উল্লেখ করেছিল, যখন আব্দুল গাড়িতে বসে সেহারার জন্য চিঠি লিখেছিল।

তারা আস্তে আস্তে খামারের দিকে গেলো। তারা দেখছিল যে প্রায় অনেক কৃষকেরা ধান চাষ করছিলো। বাকি খামারগুলি রোধের কারণে শুখিয়ে গেছিল। রাজা, মন্ত্রী এবং সৈন্যরা কৃষকদের কাজগুলি চোখে চোখে দেখছিল। কিছু মানুষ ক্লান্ত ছিল, তাই রাজার লোকেরা নির্মমভাবে চাবুক দিয়ে মারছিল। কারোর কারোর আঘাতে জখম হয়ে গেছিল।

"উফ! আফসোস, একদম ফ্যারাও-এর যুগের মতো লাগলো। মায়া লাগে!" বলল ফিসফিক করে বলল আব্দুল।

"ফিসফিস করা লাগবে না। বর্তমানের জন্য অতীত ঠশা। তার মানে স্মৃতি গলিতে গেলেও অতীত পাল্টাতে পারবা না। কারণ আমরা অদৃশ্য" বলল যুবা।

এক বৃদ্ধ কৃষক জখম হওয়ার পুরেও তাকে নির্মমভাবে চাবুক দিয়ে মারছিল কিন্তু এক কম বয়সী মেয়েটি চাবুকটি ধরে থামিয়ে দিল। সে দেখতে একদম সেহারার মতো ছিল। কিন্তু রাজা এবং তাদের লোকজন ঘড়ার কাঁধে করে আসলো। রাজাটি রাজকুমারের মতো সুন্দর ছিল। সাথে ছিল দাড়ি। সে শয়তানি মুচকি হাশি দিল।

"মহারাজ, দয়া করুন! আপনার লোকেরা আমার নানাকে নির্মমভাবে মারছে! দয়া করে থামিয়ে দেন। নানা অনেক অসুস্থ!" কেঁদে কেঁদে বলল মেয়েটি।

"রাজাকে তুমি শিখাচ্ছো? শিখালে কি হয়, জানো না? তোমার নানাকে আরো কাজ করতে হবে। আমার মনে হয় শিক্ষা দিয়া ফেলায়" হেসে হেসে বলল রাজা।

শেষ নিশ্বাস পুর্যন্ত, রাজার হাতে বৃদ্ধ লোকটি মার খেয়ে মৃত্ হল। এই পরিস্থিতি দেখে আব্দুল চমকে গিয়ে তার চোখ থেকে পানি পড়ে গেলো।

"যে আপনাকে অনেক সাহায্য করেছে, তাকে মারছো? যে আপনাকে অন্তরে স্নেহ করতো, তাকে মারছো? তাহলে জীবনে কি শিখলা...নিজেকে খুজে বের কর" বলল মেয়েটি। কিন্তু বৃদ্ধ লোকটি মারা গেলো। মেয়েটি কেঁদে কেঁদে অভিশাপ দিল "এক না এক দিন, তুমি নিজেকে বুঝতে পারবা, জাহাপানা"। তারপর যুবা এবং আব্দুল স্মৃতির গলির থেকে বের হল।

শান্তিপারা সমগ্র (Peaceland Trilogy Bangla Edition)Donde viven las historias. Descúbrelo ahora