৭১

2 0 0
                                    

২০

সেতুর থেকে উভচর দৈত্যরা শহরে যাচ্ছিলো, সাথে যাচ্ছিলো নদীর দিকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ওয়াইট হাউস-এর মধ্যে মহিলা রাস্ট্রপতি, তাও বাঙালী, সংসধের সব নেতা-নেত্রীদের সাথে কিছু রাজনৈতিক আলাপ করছিলো। তিনি ছিলেন লম্বা, সুন্দরী। চুল ছিল লম্বা এবং সোজা। সাথে কোট শার্ট এবং প্যান্ট পড়ে ছিলেন। সাথে গোল চশমা পড়া এবং ঠোটে লাল লিপস্টিক ছিল। কিন্তু, সেক্রেটারির মধ্যে একজন হুড়মুড় করে দৌড়িয়ে আসছিলো। সে ফিসফিস করে উভচর দৈত্য এবং পিশাছায়া-এর আগমনের কথা তুলল। কিছু না বলে, সে সামাজিক যোগাযোগ এবং তার ব্যাক্তিগত চ্যানেল অন করে ছিল।

"নাগরিকগণ,

আমি ক্ষমা চাচ্ছি, যে, কিছু অঘটনের কারণে আমাদের বৈঠক এখান থেকে সমাপ্ত করতে হবে। আমি বলবো যে আজকে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নয়, সারা বিশ্বে অতিপ্রাকৃত প্রানীরা আমাদের হামলা করছে। এখন আমরা কিছু পদক্ষেপ নিব, যাতে আমাদের সুরক্ষার কোনো প্রভাব না পরে। আমাদের যত যাইহোক না কেন, আমরা সারা বিশ্ব একত্র থাকলে আমাদের মন সক্তিশালী হবে, আমরা আসাবাধি। এই কথাগুলি শোনার জন্য, ধন্যবাদ"

রাস্ট্রপতি চলে গেলো কন্ট্রল রুমে। চারপাসে মনিটর এবং কম্পিউটার। লোকজন কাজ করছে এবং কিছু আর্মির লোকেরা, তাদের অস্ত্র দিয়ে প্রস্তুত হচ্ছে। রাস্ট্রপতি আদেশ দিলো-

"অপারেটর, আপনারা আর্মি ফোর্সেস-দের সিগ্নাল সাইরেন চালু করেন। সব আর্মি অফিসারদের বল অস্ত্র তৈরী করতে, আগুনের সার্ভিস এবং উদ্ধার বিভাগদের প্রস্তুতি করতে বলেন। সবাইকে খবরে খবরে স্কুল এবং অফিস ছুটির ঘোষণা দিতে বল"।

ইতোমধ্যে, আব্দুল নিশির সামনে গুহার ভিতরে ধ্যান করছিলো। আব্দুল চোখ খুলল। সে হয়ে গেলো ভেদনীয়। নিশি এরকম অতি গম্ভীর অবস্থা দেখে ভয় পেয়ে গেলো।

"কি হয়েছে, আব্বু?" বলল নিশি।

"দৈত্যরা সারা পৃথিবী হামলা করছে। সাথে পিশাচও। এখন বাংলাদেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের সরকার পুর্যুন্ত তাদের আক্রমন করার জন্য উদ্যেগ নিচ্ছে। তাই আমাদেরও নিতে হবে। এখন যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে" বলল আব্দুল।

শান্তিপারা সমগ্র (Peaceland Trilogy Bangla Edition)Tempat cerita menjadi hidup. Temukan sekarang