চতুর্থ পর্ব

53 0 0
                                    


০৬
বাসিমের বাবা ব্যবসায়ী মানুষ। সারদিন কাটে প্রচুর ব্যস্ততায়। তবুও ছেলের জন্য সময় করে বায়েজীদ হোসেনের সাথে দেখা করতে এসেছেন। বাসিম নিজেই বিপর্ণাকে পছন্দ সে কথাটি এড়িয়ে গিয়ে বলেছেন, তিনি নিজেই ছেলের জন্য পছন্দ করেছেন বিপর্ণাকে। বায়েজীদ হোসেন তখনি কিছু বলতে পারলেন না। গতকালকে ইমরুল একটি ছেলের কথা বলেছে। এখন বাসিমের বাবার প্রস্তাবে কি বলবেন ভেবে পেলেন না। তবুও ভদ্রতার খাতিরে বলছেন, বিয়ে নিয়ে এখনি তেমন কিছু ভাবছেন না। তবুও প্রস্তাব যখন এসেছে, বাসায় কথা বলে তারপর জানাবেন।
 
এ কথা বাসিম শোনার পরে খানিকটা বিভ্রান্ত হলো। চায়ের দোকানীর তথ্য ভুল প্রমাণিত হলো কিনা। যাই হোক, প্রস্তাব যেহেতু দিয়েই ফেলেছে এখন পিছিয়ে যাওয়ার কোনো মানে হয় না। ধৈর্য্য ধরে পেছনে লেগে থাকতে হবে এই আরকি।
রাতে বায়েজীদ হোসেন খাবার টেবিলে গম্ভীর হয়ে বসে রইলেন। একটু পর পর বিপর্ণার দিকে সূক্ষ্ম নজরে চেয়ে দেখছেন। বাড়ির কেউ বিষয়টি খেয়াল না করলেও ইমরুল খেয়াল করলো। শিক্ষক হওয়ার সুবাদে মানুষের দৃষ্টি এবং অঙ্গভঙ্গি পড়ে ফেলার দক্ষতা রয়েছে। তাই খাওয়া শেষে বাবা মায়ের রুমে চলে গেলো। তামান্না তখন বিছানা গুছিয়ে শোয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ছেলেকে দেখে বায়েজীদ হোসেন তামান্নার উদ্দেশ্যে বললেন,
-  এক কাপ চা বানিয়ে নিয়ে এসো তামান্না। মাথাটা সামান্য ব্যথা করছে।

তামান্না বেড়িয়ে যেতে ইমরুলকে বসতে বললেন। ইমরুল ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করলো। বেশ কিছুক্ষণ পর বায়েজীদ হোসেন কথা বললেন।
-  গতকাল যে ছেলেটার কথা বললে ভাবছি ওর সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করবো। যদিও এতো তাড়াতাড়ি বিপর্ণার বিয়ে দেওয়ার ইচ্ছে ছিলো না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে বিয়ে দিয়ে দেওয়াই ঠিক হবে।
-  কিছু হয়েছে?
-  সন্ধ্যার সময় একজন লোক এসেছিলো দোকানে। উনার ছেলের জন্য বিপর্ণাকে চাইছেন।
-  হঠাৎ?
-  উনি তো বলছেন, ছেলের জন্য উনি বিপর্ণাকে দেখে পছন্দ করেছেন। কিন্তু আমার তা মনে হয়নি। ছেলের নাম বাসিম না কি যেনো বললো। বিপর্ণার কলেজেই পড়ে। আশেপাশে খোঁজ নিয়ে ভালো কিছু শুনলাম না। কীসব রাজনীতি করে। পড়াশোনাও শেষ হয় নাই এখনো। ঘটনা বেশিদূর আগানোর আগেই সম্মানের সাথে মেয়ে বিদায় করাই ভালো। ওই এএসআই ছেলেটার খোঁজ নেও। বাড়ি কোথায় ওর?
-  গাইবান্ধা।
-  ওখানে পরিচিত কেউ আছে?
-  গাইবান্ধা কলেজে একটা ফ্রেন্ড আছে। ওর সাথে কথা বলে দেখি।
-  আচ্ছা। আমাকে জানাইয়ো।

অলীককায়াWhere stories live. Discover now