৬৩
রাতের অন্ধকারের বুক চিরে নিস্তব্ধতা ভেঙে খানখান করে বিকট শব্দ হলো হঠাৎ। থমকে দাঁড়ালো সে। পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখলো শেয়ালের দলটি উল্টোদিকে ছুটতে শুরু করেছে। সে আবার দৌড়াতে শুরু করলো। এই ভয়ংকর জঙ্গল থেকে বের হতে হবে৷ এখানে প্রতি পদে পদে মৃ*ত্যু অপেক্ষা করছে। হিংস্র প্রাণীকূল বিপদ আপদ বুঝে না। বুঝে না কারো অনুভূতি। ওরা নিশ্চয়ই বিপর্ণাকে সহানুভূতি দেখাবে না৷ আহা রে! মেয়েটা মৃ*ত্যুর মুখ থেকে পালিয়ে এসেছে। তাকে আর বিপদে না ফেলি৷
হাহ! কার থেকে কি আশা করছে! হাসি পেলো বিপর্ণার।
হঠাৎ পেছন থেকে একটি হাত ওর কোমড় জড়িয়ে ধরে ওকে শুন্যে তুলে ধরলো। আচানক আক্রমণে চিৎকার বেরিয়ে এলো মুখ থেকে।
- আহহহহহহহ.....বিপরীতে মানুষটি এক হাতেই ওকে ঘুরিয়ে নিয়ে কাঁধের উপর তুলে হাঁটতে শুরু করলো। বিপর্ণার উদর ঠেকেছে ব্যক্তিটির বলিষ্ঠ কাঁধে। দেহের সম্মুখভাগ ব্যক্তিটির পিঠের উপর ঝুলছে এবং পশ্চাৎভাগ বুকের উপর। বিপর্ণার চিৎকারে ব্যক্তিটির কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার জোগাড়। ও থামছে না দেখে মুখে কিছু না বলে এক হাতে সজোরে আঘাত করলো বিপর্ণাকে।
হঠাৎ কটিদেশে কারো হাতের তালুর ছোঁয়ায় হতভম্ব বিপর্ণার কন্ঠরোধ হয়ে এলো। থাপ্পড়টি যথেষ্ট ব্যথা সৃষ্টি করেছে। জল চলে এসেছে চোখে। মাথা তুলে ভালোভাবে তাকিয়ে দেখলো ওকে কাঁধে তুলে নেওয়া ব্যক্তিটি স্বয়ং আইজাম। যার থেকে বাঁচার তাগিদে বিপর্ণা ছুটছিলো। আর একটু হলে শেয়ালের দল ওকে ছিঁড়ে খুবলে খেয়ে নিতো। ভাগ্যিস গু*লির শব্দ শুনে উল্টোপথে চলে গেলো। না হলে এতোক্ষণে বিপর্ণা পরিণত হতো ওদের আহারে ।
আইজামের হাতে তখনো রি*ভলবারটি শোভা পাচ্ছে। যা দেখে শুকনো ঢোক গিললো সে। এরই মাঝে ওরা বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে৷ দূর থেকে বাড়িটি নজরে আসা মাত্র বিপর্ণা ছটফট করতে শুরু করলো। অতিকষ্টে যে বন্দী দশা থেকে মুক্তি পেয়েছে, সেখানে আবার কোনোভাবে পা রাখবে না। শুণ্যে হাত পা ছুঁড়ছে আইজামের বাঁধন থেকে মুক্তি পাবার আশায়।
- ছাড়ুন আমাকে। আমি যাবো না আপনার সাথে৷ থাকবো না আমি। ছাড়ুন।
YOU ARE READING
অলীককায়া
Romanceবিপর্ণার ফ্রেশ হতে সময় লাগলো আধাঘন্টা। শাড়ি পাল্টে হলুদ রঙের সুতি সালোয়ার কামিজ গায়ে জড়িয়েছে। অভ্যাসবশত ভেজা চুলগুলো মুছতে মুছতে বেরিয়ে এলো ওয়াশরুম থেকে। কিন্তু চোখের সামনে আইজামকে দেখে মনে পরলো সে এখন নিজের বাড়িতে, নিজের ঘরে নেই। ভেজা লম্বা চুলে হ...