৩৭

56 2 3
                                    

৬৫

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন থেকে একটু দূরে অনেকখানি জায়গা জুড়ে কন্সট্রাকশনের কাজ চলছে। গত চার বছর আগে জায়গাটি নির্ধারণ করা হয়েছিলো শিশু পার্ক নির্মানের জন্য৷ সরকারি বাজেট পাশের পর অনতিবিলম্বে নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়৷ কিন্তু সেই কার্যক্রমের গতি অতন্ত্য ধীর। ইতিমধ্যে অফিশিয়াল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি সুউচ্চ দালান তৈরি করা হয়েছে। যেটি প্রবেশ পথ থেকে সোজা পশ্চিমদিকে অবস্থিত। দালানটির নিচতলায় পার্কিং এরিয়া। বাকি ফ্ল্যাটগুলোর অবকাঠামো প্রস্তুত করা হলেও এখনো পরে আছে বাকি কাজ। জানালা, দরজাহীন ইটের দালানটি ধীরে ধীরে শ্যাওলা জমে মৃতপ্রায় ভবনে পরিণত হচ্ছে, তবুও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পার্ক তৈরি সম্পর্কে এলাকাবাসীর মধ্যে যে আগ্রহ ছিলো, তা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে গেছে৷ জনমানবহীন এই বিস্তীর্ণ এলাকাটি টিনের বেড়া দিয়ে কোনোরকম ঘিরে রাখা। মানুষজন ভুলেই গেছে প্লে-গ্রাউন্ড নামক এই পার্কটির কথা।

আইজাম তার বাইক নিয়ে টিনের তৈরি দরজাটি পেরিয়ে পশ্চিমের ভবনটির দিকে চলে গেলো৷ বাইক রাখলো নিচতলার পার্কিং এ। পার্কিং এর শেষ দিকে একটি লিফট রয়েছে। আশ্চর্যজনক ভাবে মৃতপ্রায় ভবনটি এই লিফটটি নিজস্ব জৌলুশে অনন্য। লিফটের চকচকে মেঝেতে পা রেখে ভেতরে প্রবেশ করার সাথেই বন্ধ হয়ে গেলো দরজা৷ এক, দুই, তিন, চার... এভাবে লিফটের বাটনের সংখ্যা বেড়েই চলছে৷ সেসব বাটন এরিয়ে আইজাম চাপলো নিচের দিকের লাল রঙা ইমার্জেন্সি বাটন। হালকা কেঁপে উঠে লিফট চলতে শুরু করলো। লিফটের চারপাশের আয়নায় ফুটে উঠেছে আইজামের কঠোর মুখশ্রী। মিনিট পেরোনোর আগেই লিফটটি নিচের দিকে নামতে নামতে গন্তব্যে পৌঁছে গেলো৷

আন্ডারগ্রাউন্ডের ফ্ল্যাটগুলোর চিত্র আপারগ্রাউন্ডের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। লিফট থেকে বেরিয়ে সামনে পরলো একটি বন্ধ দরজা৷ হাতের ছাপ এবং মুখমণ্ডল পর্যবেক্ষণ করার পর স্ক্যান মেশিনটি ভেতরের প্রবেশের অনুমতি প্রদান করলো৷

চারপাশ ঝলমল করছে বৈদ্যুতিক বাতির আলোয়৷ মেঘের মতো সাদা মেঝেতে পা রেখে আইজাম এগিয়ে গেলো৷ কেবিনের সামনে অপেক্ষা করছে হানান। আইজামকে দেখে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। আইজাম প্রশ্ন করলো,

অলীককায়াWhere stories live. Discover now