একত্রিংশ পর্ব

35 0 0
                                    

৫৪

বেলা তিনটার দিকে নাজমুল ইসলাম চট্টগ্রাম ২ নং আসনের সীমা অতিক্রম করে চট্টগ্রাম সদরে প্রবেশ করলেন। সীমান্তবর্তী রাস্তায় অপেক্ষায় ছিলো চার সদস্য বিশিষ্ট পুলিশের একটি দল। আইজাম, হানান, জামিল ও মুকুর একটি গাড়ি নিয়ে নাজমুল ইসলামের গাড়ির পিছে পিছে আসছে৷ সামনে নাজমুল ইসলামের নিজস্ব নিরাপত্তা প্রদানকারী দল৷ মাঝখানে এমপির গাড়িসহ তিনটি গাড়ি আহলাদ আদনানের বাড়ি পৌঁছালো বিকালে।  

ব্যক্তিগত বিষয়ে আলোচনার কথা বললেও মেয়রের বাড়ির চিত্র দেখে সকলের চক্ষু চড়কগাছ। বাড়ির বাইরে থেকে বুঝার উপায় নেই যে বাড়ির ভেতরে এতো মানুষজন গিজগিজ করছে৷ নাজমুল ইসলাম নিজেও বিস্মিত। প্রশ্নাত্মক দৃষ্টি মেলে আহলাদ আদনানের দিকে তাকালেন৷ বিপরীতে মেয়র সাহেব মিষ্টি হেসে বললেন,

- স্বয়ং এমপি মহোদয় আমার বাড়িতে পা রেখেছেন, আয়োজনে কোনোরুপ ত্রুটি থাকলে আমার লজ্জার শেষ থাকবে না৷ 

- আমি কিন্তু  ঘরোয়াভাবে সামান্য আয়োজন করতে বলেছিলাম৷ 

- আয়োজন সামান্যই।

- এতো লোকজন। 

- দলের ছেলেপুলে। একদম বাড়ির লোকের মতোই কাছের৷ নিজ আগ্রহে বাজার ঘাট করে রান্নাবান্না করছে৷ সামান্য বিষয়ে আনন্দ খুঁজে পায়। ওদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমিও আর না করতে পারিনি৷ 

- কিন্তু কথা ছড়িয়ে পরলে সমস্যা। আমরা এখনো চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেই নি৷ ছেলেমেয়ের মতামত নেওয়াও বাকি৷ 

- এরা সবাই আমার বাড়ির সদস্য। নিজের ছেলেমেয়ের মতো৷ আপনি চিন্তা করবেন না৷ 

মনে মনে বিরক্ত হলেও নাজমুল ইসলাম আর কথা না বাড়িয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করলেন। দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে রইলো পুলিশের দলটি। রাতের খাবার খেয়ে এমপি মহোদয় যখন ফিরে যাবেন, তাদের আবার ছুটতে হবে এমপির গাড়ির পেছনে। 

প্রায় আধাঘন্টা পেরিয়ে গেলে জামিল বললো, 

- এখানে দাঁড়িয়ে থেকে কি হবে? আমরা বরং সামনের দোকান থেকে ঘুরে আসি৷ 

অলীককায়াWhere stories live. Discover now