পঞ্চম পর্ব

52 0 0
                                    

০৯

গাইবান্ধা সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করছে ইমরুলের একজন ভার্সিটি ফ্রেন্ড। তার সাথে যোগাযোগ করার দুদিন পর এএসআই ছেলেটির খোঁজ পাওয়া গেলো। যা তথ্য পেলো তাতে খুব বেশি সন্তুষ্ট না হলেও খুব একটা খারাপও মনে হয়নি ইমরুলের। সেদিনের পরে ছেলেটির সাথে আর দেখা হয়নি। ফোন নাম্বার নিয়েছিলো ইমরুল। বাড়িতে কথা বলে জানাবে বলেছিলো। কিন্তু ফোন করা হয়নি।
সারাদিন কলেজ, প্রাইভেট শেষ করে রাতে বাড়ি ফিরে ফ্রেশ হয়ে সোফায় মাথা এলিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলো। তখনি ঘরে এলো শাম্মী। ইমরুল বাড়ি ফিরলে তামান্না ওকে রান্নাঘরে থাকতে দেয় না৷ জোর করে ঘরে পাঠিয়ে দেয়। সারাদিন বাইরে কাটিয়ে ছেলে মাত্র ঘরে ফিরেছে। কখন, কি লাগে বলা যায় না। শাম্মীকে পাঠিয়ে দিয়ে বিপর্ণার সাথে বাকি রান্নাটুকু করে ফেলেন।
শাম্মী ঘরে এসে সোফার পেছনে দাঁড়িয়ে ইমরুলের মাথা টিপে দিতে শুরু করলো। কোমল হাতের ছোঁয়ায় যেনো জাদু আছে। আরামে চোখ বুজে আসে ইমরুলের। আরেকটুখানি পেছনে এলিয়ে দেয় মাথাটা।
- চা বানিয়ে দিবো?
- উহু। একটু পরে একেবারে ভাত খাবো। রান্না কতোদূর?
- এই তো শেষের দিকে।
- বাবা ফিরেছে?
- নাহ। এখনো আসেনি।
- শাম্মী?
- হুম।
- বিয়ের ব্যাপারে বিপর্ণার কিছু বলেছে?
- এখনি বিয়ে করতে চাইছে না।
- কেনো? ওই ছেলেটার জন্য?
- ওসব কিছু না। একদিন শুধু বিপর্ণার সাথে রাস্তায় কথা বলেছিলো। দেখে হয়তো পছন্দ হয়েছে, এজন্য বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। সাধারণ বিষয়৷ এতো জটিল করে দেখার কিছু নেই। বিপর্ণা নিজের সীমা জানে৷
- চিন্তার কিছু নেই বলছো?
- ও আমাকে মিথ্যে বলবে না৷
- বিয়ের ব্যাপারে তোমার কি মতামত?
- ও তো বিয়ে করতে চাইছে না।
- ওর কথা বাদ দেও। কেউ নিজে থেকে বিয়ে করতে চায় না। তোমার মতামত জানতে চাইছি৷
- পুলিশ ছেলেটার ব্যাপারে বলছো?
- হ্যাঁ।
- আমার ওসব পুলিশ টুলিশ পছন্দ না। ঘুষের টাকায় ঘর সংসার চালায়। অসৎ পথে আয় কখনো সুফল বয়ে আনে না। সবে তো পাত্রের খোঁজ করা শুরু হলো। প্রথম প্রস্তাবকে এতো সিরিয়াসলি না নিয়ে আরও কয়েকটা ছেলে দেখো৷ হতে পারে এর থেকেও ভালো ছেলে পেলে। পুলিশ, রাজনীতিবিদ এদের কেনো দিতে হবে? মেয়ে আমাদের মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর। লেখাপড়া করছে, বয়সও ঠিকঠাক। তুমি নিজের প্রফেশনের কোনো ছেলে দেখো।

অলীককায়াWhere stories live. Discover now