চতুর্দশ পর্ব

67 1 1
                                    


ভোরবেলা আইজাম ডেকে না দিলেও কয়েকদিনের অভ্যাসে ফজরের ওয়াক্তের সময় একবার ঘুম ভেঙে গেলো। হালকা চোখ মেলে দেখলো আইজামের নামাজ পড়া শেষ। মোনাজাতে বসে দোয়া পড়ছে।
- প্রতিদিন এটা কোন দোয়া পড়েন?

আইজাম ফিরে তাকালো বিপর্ণার দিকে। বালিশে মাথা রেখে আধোখোলা চোখে ওর দিকে চেয়ে আছে৷ মুচকি হেসে বিপর্ণার পাশে বসে দোয়া পড়লো,
বিসমিল্লাহি আরক্কিকা মিং কুল্লি শাইয়িন ইয়ুজিকা ওয়ামিন সাররি কুল্লি নাফসিন আও আইনিন হাসাদিল্লাহু ইয়াশফিকা বিসমিল্লাহি আরক্কিকা।
তারপর বিপর্ণার গায়ে ফুঁ দিয়ে জিজ্ঞাসা করলো,
- পেট ব্যথা এখনো আছে?
- বেশি না। সামান্য।
- আমি নাস্তা তৈরি করে রেখে যাবো। উঠে খেয়ে নিও।
- বললেন না আপনি রোজ ওটা কোন দোয়া পড়েন?
- সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার।
- কেনো পড়েন?
- আল্লাহর রাসুল (সা.) হাদিসে উল্লেখ করেছেন, যদি কেউ দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা এই ইস্তেগফারটি পড়ে এবং ঐ দিন বা রাতে ইন্তেকাল করে, তবে সে জান্নাতি হবে।

আইজামের কথা শুনে চোখ খুলে বোকার মতো চেয়ে আছে বিপর্ণা। তা দেখে আইজাম হাসলো।

- আরে বোকা মেয়ে, কার কখন মৃত্যু আসে সেটা কি আগে থেকে বলা যায়? তাই সবসময় মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকা ভালো, তাই না? তাছাড়া আমাদের পেশায় সারাক্ষণ মৃত্যুকে বগলদাবা করে সাথে নিয়ে ঘুরতে হয়।

বিপর্ণা কিছু বললো না। ছলছল চোখের জল গড়িয়ে পরার আগেই চোখ বন্ধ করে নিলো৷

২৭

ডবলমুরিং থানার দুজন ইন্সপেক্টরের মধ্যে একজন হচ্ছেন আনোয়ার হোসেন। যুবক বয়স তাই মেজাজ সারাক্ষণ তুঙ্গে থাকে। একটু আগে থানায় ফোন করে একটি ছিনতাইয়ের খবর দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ আগ্রাবাদে সিএনজি থেকে একজন যাত্রীর ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করার সময় ছিনতাইকারীকে আটকে ফেলে সাধারণ জনতা। তাকেই থানায় নিয়ে আসতে যাচ্ছে আনোয়ার হোসেন। উনি থানা থেকে বের হওয়ার সময় আইজামের সাথে দেখা হলো৷ হাবিলদার আমিরকে ইশারা করতেই সে আইজামকে বললো,
- আগ্রাবাদ যাচ্ছি, স্যার। আপনিও আসেন।
- আপনারা যান। আমার কাজ আছে৷

অলীককায়াWhere stories live. Discover now