ত্রয়োবিংশ পর্ব

33 1 0
                                    

- খাসা দেখতে পুলিশের বউটা। ফিরে যাওয়ার সময় সাথে নিয়ে যাই? কি বলো, বস?

সুজয়ের কথায় ভারী বিরক্ত হলো বাদশা৷
- যা করার এখানে করবি। নিয়ে যাওয়া যাবে না। তার আগে যা করতে এসেছি সেটা করে নেই। রুমাল দিয়ে হাত দুটো বেঁধে দে।

ঝটকা মেরে বিপর্ণাকে ফেলে দিলো সুজয়ের গায়ের উপর। তাতে নারী শরীরটি ছুঁতে আরও বেশি সুবিধা হলো ওর। নরম হাত দুটো কিছুক্ষণ দলাই-মলাই করে তারপর পেছন মুড়ে রুমালে বেঁধে দিলো৷ ক্রন্দনরত বিপর্ণা বার বার প্রশ্ন করছে,
- কি চাই আপনাদের?

ডাইনিং টেবিল থেকে এক গ্লাস পানি পান করে বাদশা বললো,
- পুলিশটা বাড়ি ফিরবে কখন?

বিপর্ণা জবাব দিলো,
- জানি না৷

ততোক্ষণে সুজয় ওর ফোন নিজের আয়ত্তে নিয়ে ফেলেছে৷ হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজ চেক করে বললো,
- আধা ঘন্টার বেশি লাগবে।

আরও কিছুক্ষণ স্ক্রল করে বললো,
- ওওও! শালা ভালোই রোমান্টিক আছে দেখছি৷ হার্ট ইমোজি দিয়ে কনভারসেশন ভরায় ফেলছে৷ দু একটা চুম্মাও আছে৷ হা হা হা...

ব্যক্তিগত মেসেজ চেক করায় বিপর্ণার ভীষণ রাগ হলো৷ কটমট দৃষ্টি ছুড়ে দিয়ে বললো,
- ওটা ফেরত দিন বলছি।

ওর দিকে তাকিয়ে চোখে চোখ রেখে এগিয়ে এলো সুজয়৷ কাছাকাছি দাঁড়িয়ে হঠাৎ করে বিপর্ণার ফোনটি মেঝেতে ছুঁড়ে ফেললো৷ পর পর লাথি মেরে পায়ে পিষে দিলো নিমিষেই। আতংকে চোখ বন্ধ করে ফেলেছে বিপর্ণা। বাদশা এগিয়ে এসে সুজয়কে সরিয়ে দিয়ে প্রশ্ন করল,
- হাতে সময় বেশি নেই। তাড়াতাড়ি বলে ফেলো তো, পাখি তোমার স্বামীর অফিস-রুমটা কোনদিকে?

চোখ বন্ধ রেখে দুপাশে মাথা দুলিয়ে অসম্মতি জানালো। বিপরীতে মুহুর্তেই ডান গালের উপর সপাটে নেমে বাদশার বলিষ্ঠ হাত৷ চড় খেয়ে মেঝেতে লুটিয়ে পরেও রেহাই পেলো না। বিপর্ণার পাশে বসে এক হাতে শক্ত করে চোয়াল ধরে আবার জানতে চাইলো,
- তোর সাথে ঝামেলা করার ইচ্ছা নাই৷ ভালোই ভালোই ঘরটা দেখিয়ে দে। না হলে এমন হাল করবো কাউকে মুখ দেখাতে পারবি না।

হায় হায় করে উঠলো সুজয়৷
- আহা! করছিস কি! এমন মারপিট করে চেহারা বিগড়ে দিবি নাকি? আমাকে দে আমি আদর করে জিজ্ঞাসা করছি।

অলীককায়াWhere stories live. Discover now