৬৮
আইজামের মধ্যে কাজের যে তৎপরতা ছিলো, তা হঠাৎ কোথায় যেনো হারিয়ে গেলো। কিছুক্ষণ মূর্তিমান দাঁড়িয়ে থেকে বিধ্বস্ত দেহটা এলিয়ে দিলো চেয়ারে। দিশেহারা দৃষ্টি মেলে তাকালো চারপাশে। সবকিছু এলোমেলো ভাবে পরে আছে মেঝেতে। ওর মনে হলো এ যেনো তারই জীবনের প্রতিচ্ছবি।
হাত ঘড়িটির দিকে তাকিয়ে নিজেকে প্রবোধ দিলো, এসব অবান্তর চিন্তাভাবনা করার সময় এখন নয়। দ্রুত উঠে দাঁড়ালো। সযত্নে রাখা পোশাকটি বের করার সময় এসেছে। ওয়াশরুমের একপাশে থাকা কেবিনেট থেকে বের করলো একটি কালো পোশাক। কালো ট্রাউজার এবং কালো হুডি। পুরো পোশাকটিতে কালো ব্যতীত অন্য কোনো রঙ নেই। আপাতত দৃষ্টিতে খুব সাধারণ একটি পোশাক। এটি ঘরের আলমারিতে তুলে রাখা ছিলো। একদিন বিপর্ণার চোখে পরে যায়। বায়না ধরে এটি তার চাই। আইজামের পোশাক ওর গায়ে তুলনামূলক বড় হবে, এটি বলেও থামানো যায়নি।
- হোক বড়। তবুও আমি এটা পরবো। গায়ে দিয়ে বাইরে তো যাচ্ছি না। ঘরে পরলে কি সমস্যা?
ঘরে হুডি ট্রাউজার পরলে কোনো সমস্যা নেই। সেটা আইজামও জানে। কিন্তু এই হুডিটি বিশেষ। চাইলেই বিপর্ণাকে দিয়ে দিতে পারে না।
- আচ্ছা ঠিক আছে। আমি তোমার জন্য ঠিক এরকম আরেকটা অর্ডার করে দিচ্ছি।
- আচ্ছা ঠিক আছে। একই রকম ড্রেস পরে আমরা কাপল পিক তুলবো।
সপ্তাহের মধ্যে চলে এসেছিলো বিপর্ণার হুডি এবং ট্রাউজার। শীতের মৌসুম না হওয়ায় তখন পরা হয়নি। এখন শীত আসি আসি করছে, কিন্তু ওদের মধ্যে কিছু ঠিক নেই।
দ্রুত পায়ে সদর দরজার দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় আইজাম ঘুরে তাকালো পিছনে। কেনো যেনো বিপর্ণার সাথে কথা না বলে এভাবে যেতে ইচ্ছে করছে না। যে কাজে যাচ্ছে, তাতে পদে পদে বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। হতে পারে আর কখনো বিপর্ণার সাথে দেখা হলো না। কথা বলা হলো না। আফসোস থেকে যাবে।
গুটি গুটি পায়ে আইজাম উপস্থিত হলো গেস্টরুমের দরজার সামনে। বন্ধ দরজায় হাত রেখে ডাকলো,
- সুকু?
YOU ARE READING
অলীককায়া
Romanceবিপর্ণার ফ্রেশ হতে সময় লাগলো আধাঘন্টা। শাড়ি পাল্টে হলুদ রঙের সুতি সালোয়ার কামিজ গায়ে জড়িয়েছে। অভ্যাসবশত ভেজা চুলগুলো মুছতে মুছতে বেরিয়ে এলো ওয়াশরুম থেকে। কিন্তু চোখের সামনে আইজামকে দেখে মনে পরলো সে এখন নিজের বাড়িতে, নিজের ঘরে নেই। ভেজা লম্বা চুলে হ...