পঞ্চবিংশ পর্ব

41 2 1
                                    


৪৩

যে মানুষের জীবনে কখনো প্রেম আসেনি। যে কখনো বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গ পায়নি। সম্পূর্ণ স্বচ্ছ মনে, পবিত্রভাবে বিয়ের পীড়িতে বসেছে। সে সবসময় কামনা করে তার জীবনসঙ্গীও যেনো তেমনটাই হয়। তারা একে অপরের জীবনের প্রথম অনুভূতি হয়ে বাকিটা জীবন কাটিয়ে দিবে। বিপর্ণাও চেয়েছিলো তার অর্ধাঙ্গের জীবনে সেই হবে প্রথম নারী। এই যুগে এসে যা পাওয়া খানিক দুষ্কর বটে। সেসবও ভেবে রেখেছে বিপর্ণা। বিয়ের আগের সবকিছু ভুলে তারা দুজনে না হয় নতুন করে শুরু করবে। মনকে এতোটাই উদার করে রেখেছিলো। তবুও সৃষ্টিকর্তা তার সাথে এমন করলো কেনো? কান্নায় বুক ভেসে যেতে চায় কিন্তু চোখে জল নামে না। অদ্ভুত এক রাগ জন্ম নিয়েছে মনে। ঘরে অতিথি না থাকলে এখনি তুলকালাম বাঁধিয়ে দিতো। রুমার ঘরের লাইট বন্ধ হওয়া অব্দি রান্নাঘরে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে রইলো। আইজাম তখনো অফিসরুমে। এতো কিছু ভাবার অবস্থায় নেই বিপর্ণা। দরজায় একনাগাড়ে ঠক ঠক শব্দ করে আইজামের মাথার পোকা নাড়িয়ে দিলো। রুমার মুখোমুখি হওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই। তবুও শব্দে অতিষ্ট হয়ে দরজা খুলে দিতে বাধ্য হলো আইজাম। দরজার সামনে বিপর্ণাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বোধহয় থমকালো। ও কখনো দোতলার সিঁড়িতেও পা রাখে না। শান্ত কন্ঠে জানতে চাইলো,

- কিছু বলবে?

- ঘুমাবেন কখন?

বিপর্ণার কণ্ঠস্বরের শীতলতা অনুভব করার মতো মানসিক অবস্থায় আপাতত আইজাম নেই। নিজ জগতে বিভোর আইজাম বললো,

- দেরী হবে। তুমি ঘুমিয়ে পরো।

দরজা চাপিয়ে দিয়ে আইজাম ফিরে গেলো। তা বন্ধ হওয়ার আগেই গতি রোধ করে বিপর্ণা নিজেও কক্ষের ভেতর প্রবেশ করলেও দরজার সাথে গা ঘেষে দাঁড়িয়ে বললো,

- আপনার সাথে আমার কথা আছে আইজাম।

- অফিসরুমে আমি বাদে অন্য কারো আসা বারণ। এই সাধারণ কথাটা বুঝতে তোমাদের এতো সমস্যা হচ্ছে কেনো?

আইজাম প্রলয়ংকারী চিৎকারে বিপর্ণা চমকালো। সারাদিনে যথেষ্ট চমকপ্রদ ঘটনা ঘটে গেছে তার সাথে। তাই খুব একটা রা করলো না। দু হাত বুকের উপর ভাঁজ করে মেরুদন্ড সোজা রেখে প্রশ্ন করলো,

অলীককায়াWhere stories live. Discover now