৬৭
পূর্ব আকাশের সূর্যটি ধীরে ধীরে পশ্চিমের দিকে ঢলে পরছে। ঘরের জানালা দিয়ে প্রবেশ করছে তীক্ষ্ণ আলোক রশ্নি। অফিসরুমের ডেস্কের একপাশে বসে আছে বিপর্ণা। জেদ ধরেছে, যতক্ষণ না নিজের ভাই সম্পর্কে তথ্য পাচ্ছে, ততোক্ষণ এখান থেকে এক পা নড়বে না। অন্যদিকে অপরপাশের চেয়ারে বসে আপন মনে কাজ করে যাচ্ছে আইজাম। নিজের প্রিয় রি*ভলবারটি নরম কাপড় দ্বারা পরিষ্কার করছে।
কালো রঙের অদ্ভুত যন্ত্রটি দেখে বিপর্ণার ভয় লাগলেও তা প্রকাশ করছে না। পাশে রাখা সোনালি রঙ্গা বু*লেটগুলোর দিকে তাকিয়ে শুকনো ঢোক দিলো বললো,
- আপনি বিরক্ত হচ্ছেন না?নিজের কাজে ব্যস্ত আইজাম ওভাবেই জবাব দিলো,
- বিরক্ত হবো কেনো?- আপনার সামনে বসে আছি বলে।
- তুমি সামনে থাকলে আমার ভালোই লাগে।
কিছু সময় নীরব থেকে বিপর্ণা আবার বললো,
- ভাইয়ের খবর না পাওয়া পর্যন্ত আমি যাচ্ছি না।- ঠিক আছে।
আইজামের জন্য আজকের দিনটি ভীষণ ব্যস্ততার। হাতের কাজ গুছিয়ে নিয়ে ফোনে ব্যস্ত হয়ে পরলো। এদিকে বসে থাকতে থাকতে বিপর্ণার ঘুম পাচ্ছে।
হঠাৎ আইজাম ওর ফোনটি এগিয়ে দিলো বিপর্ণার দিকে। বিপর্ণা প্রশ্নাত্মক দৃষ্টি ছুঁড়ে দিলে, আইজাম বললো,
- তোমার ভাই।মূলত আইজামের ফোনে বারংবার ইমরানের কল আসছিলো। এর ফলে আইজামের কাজে বিঘ্ন ঘটছে। এছাড়াও রাতের দিকে আইজামকে বেরিয়ে যেতে হবে। বিপর্ণার মতিগতি দেখে মনে হচ্ছে না, সে এখান থেকে চলে যাবে। তাই ইমরানের কলটি রিসিভ করে বিপর্ণার দিকে এগিয়ে দিলো।
কালক্ষেপণ না করে বিপর্ণা হামলে পরলো ফোনটির উপর। কিন্তু আইজাম তার হাতটি পিছিয়ে নিলো।বিপর্ণা অবাক হয়ে আইজামের দিকে তাকালে সে বললো,
- তোমার ভাইকে বলেছি আমাদের মাঝে সামান্য বিষয়ে ঝগড়া হয়েছে। তাই তুমি রাগ করে বাড়ি চলে যেতে চাইছো। এখন তোমাকে কীভাবে কথা বলতে হবে, আশা করি বুঝিয়ে দিতে হবে না। এক ভুল যেনো দ্বিতীয়বার না হয়।
YOU ARE READING
অলীককায়া
Romanceবিপর্ণার ফ্রেশ হতে সময় লাগলো আধাঘন্টা। শাড়ি পাল্টে হলুদ রঙের সুতি সালোয়ার কামিজ গায়ে জড়িয়েছে। অভ্যাসবশত ভেজা চুলগুলো মুছতে মুছতে বেরিয়ে এলো ওয়াশরুম থেকে। কিন্তু চোখের সামনে আইজামকে দেখে মনে পরলো সে এখন নিজের বাড়িতে, নিজের ঘরে নেই। ভেজা লম্বা চুলে হ...