একবিংশ পর্ব

60 1 0
                                    

৩৯

দীর্ঘ একমাস সংযমের পর আসে ঈদের বাঁধ ভাঙা খুশি। যার সূচনা হয় প্রথম রোজা থেকে৷ ঈদ ঈদ গন্ধে মাতোয়ারা চারপাশ। বিপর্ণার ক্ষেত্রে যাত্রাটা আরেকটু দীর্ঘ এবং আনন্দময়। উচ্ছ্বাস, উত্তেজনা শুরু হয়েছে রমজান মাসের আগে থেকেই। রোজার সময় এটা করবে সেটা করবে সেই আয়োজনে মেতে থাকে সারাক্ষণ।
আবাসিক এলাকার মা র্ডা র কেসের উপযুক্ত কোনো প্রমাণ পুলিশের হাতে আসেনি। দলের অভ্যন্তরীণ ঝামেলার সূত্র ধরে ভিক্টিমকে খু ন করা হয়েছে উক্ত কারন দেখিয়ে আপাতত শিথিল হয়েছে বদরুল হ ত্যা মামলা। পুলিশের সন্দেহের তালিকায় প্রথম নাম বাদশার৷ বদরুল মা রা যাওয়ার পর এমনিতে ও গা ঢাকা দিয়েছে। নিজের পরিকল্পনায় পুলিশের ঝামেলায় আইজাম বেজায় বিরক্ত৷ নিজ টিমের আগে যেনো কোনোভাবেই বাদশার কাছে পৌছাতে হবে৷

- জটাধারীর মতো গুপ্তচর বাদশার খবর দিতে পারছে না। কোন খুপরিতে গিয়ে লুকিয়েছে কে জানে?

এক কথা বারবার শুনতে শুনতে বিরক্ত আইজাম। কপাল কুচকে হানানের দিকে তাকিয়ে বললো,
- এতোগুলো চোখ ফাঁকি দিয়ে বাদশা কীভাবে গা ঢাকা দিলো? তোমরা কীভাবে কাজ করছো বুঝতে পারছি না। হাতে বেশি সময় নেই৷ আমার কাছে প্রতিদিন আপডেট চাওয়া হচ্ছে। পজেটিভ কোনো এন্সার দিতে পারছি না। যতোদিন পারি উপরমহলকে আটকে রাখার চেষ্টা করেছি। মনে হয় না আর বেশিদিন চুপ থাকবে। নিজেদের বিপদে ফেলতে না চাইলে কাজে মনোযোগী হও।

কপালের কুঞ্জনরেখা সাথে নিয়ে বাড়ি ফিরলেও বিপর্ণার হাস্যোজ্বল চেহারা দেখে মন ভালো হয়ে যায়। ফুটন্ত ফুল দেখে মন হয় প্রাণবন্ত, চঞ্চল। প্রজাপতির মতো উড়ে ফুলের উপর বসে পরে মনটা৷ বিপর্ণার এনে দেওয়া চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে ওর হাত দুটো নিজের হাতের মধ্য নিয়ে হাতের উল্টো পিঠে চুমু দিয়ে বললো,
- চা ভীষণ ভালো হয়েছে।

আলতো হেসে বিপর্ণা চোখ সরু করে চেয়ে সন্দেহ জাহির করলো।
- রোজ এতো প্রশংসা করার কারন কি? অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ।

আইজাম নিজেও কন্ঠ নিচু করে গোপন পরিকল্পনা প্রকাশের ন্যায় জানালো,
- রান্নার প্রশংসা করলে মেয়েরা খুশি হয়। উৎসাহী হয়ে পরবর্তীতে আরও ভালোবেসে রাঁধে। এখন যদি আমি তোমাকে বলি চায়ে লিকার কম হয়েছে তোমার মন খারাপ হয়ে যাবে। আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে৷ বলা যায় না রাগ করে রান্নায় থু থু মিশিয়ে আমাকে খাইয়ে দিলে। মেয়েদের মন বোঝা দায়৷
- আপনার খাবারে আসলেই থু থু মিশিয়ে দেওয়া উচিত।

অলীককায়াWhere stories live. Discover now