3

53 1 0
                                    

শুক্রবার শপিং মলে উপচে পরা ভীড়। শহরের কর্মজীবী মানুষেরা ছুটির দিনের প্রিয়জনের সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বাইরে কিছু শৌখিন কেনাকাটার জন্য ছুটে আসে। মলের ফুডপোর্টের একটি চেয়ারে ক্লান্ত আলিয়া ধপ করে বসে পরলো। টেবিলের অপরপাশে বসে দিহান বললো,
- কি খাবে?
- তোর যা মন চায় অর্ডার কর। তার আগে একদম ঠান্ডা দেখে ড্রিংকস নিয়ে আয়, ভাই। গরমে শরীর জ্বলে যাচ্ছে। আজকে মার্কেটে এতো মানুষ আসলো কই থেকে!
- সবার বাড়িতে মনে হয় আচানাক বিয়ে লাগছে।

কথা না বাড়িয়ে দিহান জলদি চলে গেলো খাবার আনতে। আলিয়ার ফর্সা মুখখানা গরমে লাল হয়ে গেছে। আতেফ আকবরের বড় আদরের মেয়ে আলিয়া। বংশের প্রথম মেয়ে হওয়ায় সে অবশ্য সবার আদুরে। সারাদিন আরাম করে শুয়ে বসে সময় কাটানো মেয়েটা নিজে আগ্রহ করে গুলিস্তার বিয়ের কেনাকাটার দায়িত্ব নিয়েছে। সকাল থেকে অনেক বাছাই করে বিয়ের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনেছে। ওর সাথে পাঠানো হয়েছে দিহানকে। একা আদরের মেয়েকে শপিংমলের উপচে পরা ভীড়ের মধ্যে পাঠানোর পক্ষে কেউ ছিলো না। দিহান অবশ্য জানে আলিয়ার এতো আগ্রহ, আনন্দের কারন কি? দিহানের সেজো ভাই দাউদের সাথে আলিয়া অপ্রকাশিত প্রণয় সম্পর্কে আছে। কখনো প্রকাশ্যে না আসলেও বাড়ির সকলে বিষয়টি সম্পর্কে অবহত এবং আগ্রহীও বটে। গুলিস্তার বিয়ে হয়ে গেলেই দানেশ এর বিয়ের আয়োজন করা হবে। এরপর আলিয়া-দাউদের বিয়ের আলোচনা সহজ হবে। এটাই মূল আলিয়ার আনন্দের কারন। দুপুরের মধ্যেই আলিয়া-দিহান কেনাকাটা শেষ করে বাড়ি ফিরে গেলো। রাতের বাসের টিকিট কেটে ছিলো দানেশ ও দাউদ। একসাথে ঢাকা হতে বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলো। ওরা সকালে বাড়ি পৌঁছে গেছে। শর্মী দুই চাচী শাশুড়ির সহযোগিতায় রান্নার দিকটা সামলে নিচ্ছে।

আলিয়া বাড়ি ফিরে দেখলো বসার ঘরে পুরুষ সদস্যরা গল্প করছে। দাউদ সেখান থেকে উঠে এসে আলিয়ার হাত থেকে ব্যাগগুলো নিলো। ওকে দেখে এক মুহুর্তে ক্লান্তি দূর হয়ে গেলো আলিয়ার।

- তুমি কখন এলে?
- তুই বেরিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই। ঘেমেনেয়ে তো একাকার হয়ে গেছিস। যা, গোসল করে নে।

হে সখাWhere stories live. Discover now