মন যখন অস্থির হয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে থাকে তখন মস্তিষ্ক ভালো-মন্দ বিচার করার সুযোগ পায় না। উত্তাল সমুদ্রে কিছু আঁকড়ে ধরে স্থিরতা লাভের আশায় হাত-পা ছোড়াছুড়ি করতে থাকে৷ রেহবারকে বাইরে থেকে স্বাভাবিক দেখালেও তার মনের সমুদ্রে চলছে প্রলয়কারী ঝড়। মস্তিষ্ক জুড়ে ক্ষণে ক্ষণে আকাশ পাতাল এক করে বিদ্যুৎ চমকে উঠছে৷ স্থির হওয়ার প্রচেষ্টায় মস্তিষ্ক জুড়ে তুমুল আলোড়ন। অথচ তার চোখের পাতা জোড়া ভীষণ স্থির। একনিষ্ঠে চেয়ে আছে সামনে থাকা ফাইলের দিকে। দেশের জনপ্রিয় একটি কোম্পানি Freez নামক নতুন একটি ড্রিংকস লঞ্চ করেছে। প্রোডাক্টির আউটডোর ইভেন্ট মার্কেটিং এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রেহবারের এজেন্সিকে। এজেন্সির একটি চৌকস টিমকে সেই দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা নিরলসভাবে গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ইভেন্ট আয়োজন করে প্রোডাক্ট মার্কেটিং করছে। রেহবার এতোক্ষণ গতকালের প্রোগ্রেসিং রিপোর্ট দেখছিলো। সামনে বসে আছে, ওর পার্সোনাল এসিস্ট্যান্ট লিতুন।
সদ্য গ্রাজুয়েশন সম্পন্নকারী বুদ্ধিমতী, সুন্দরী এবং চটপটে লিতুন এজেন্সির শুরু থেকেই যুক্ত আছে। বরাবর শান্ত থাকা মেয়েটিকে আজকে ডেস্কের অপরপাশে বসে উশখুশ করতে দেখে রেহবারের মনোযোগ তার দিকে ছুটে যাচ্ছিলো। ঠিকঠাক রিপোর্ট চেক করতে না পারায় সে বিরক্ত হয়ে হাতে ধরে থাকা কলমটি ফাইলের উপর শব্দ করে রেখে লিতুনের দিকে শীতল দৃষ্টিপাত করে শুধালো,
- কি সমস্যা তোমার?
লিতুন চমকে উঠে চেয়ারে সোজা হয়ে বসে বললো,
- কোনো সমস্যা নেই স্যার৷
- তাহলে এমন নড়াচড়া করছো কেনো? পেটে গন্ডগোল দেখা দিয়েছে? টয়লেটে যেতে হবে?
- না স্যার।
- তাহলে নড়াচড়া বন্ধ করে চুপচাপ বসে থাকো।
লিতুনের কিছুক্ষণ চেষ্টা করেও সফল হলো না। অস্থির চিত্তে আবারও মুঠোফোন হাতে নিয়ে স্ক্রল করতে শুরু করলো। রেহবার হাতের ফাইলটি পাশে সরিয়ে রেখে লিতুনের দিকে পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে শুধালো,
YOU ARE READING
হে সখা
Romanceএকবার দেখেই বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলো রেহবার ও গুলিস্তা। বিয়ের পর সব ঠিকঠাক চললেও গুলিস্তার নির্লিপ্ততা, অস্বাভাবিক ঠান্ডা আচরণ রেহবারের মনে গাঢ় সন্দেহের জন্ম দেয়। ভালো মন্দ সব পথ অবলম্বন করে মূল কারণ উদ্ধারের চেষ্টায় সামনে আসে গুলিস্তার অতীত। যা...