37

25 0 0
                                    

রাতে ঘুমানোর সময় গুলিস্তার ঘুম আসছে না৷ মাথায় শুধু ঘুরছে তোতা পাখিটির নামকরণের চিন্তা। রেহবার তার নিজের জায়গায় চোখ বুজে শুয়ে পরেছে। ঘুমিয়ে গেছে নিশ্চয়ই। বিছানায় সোজা হয়ে শুয়ে সিলিং ফ্যানের দিকে তাকিয়ে গুলিস্তা ভাবতে লাগলো কি নাম রাখা যায়৷ ওকে গভীর চিন্তায় ডুবে থাকতে দেখে রেহবার চোখ বন্ধ রেখে মুচকি হাসলো।

এক হাতে পাতলা শরীরটিকে টেনে নিজের কাছে নিয়ে এলো। শক্ত করে আষ্টেপৃষ্টে জাপটে ধরে বললো,
- এখন আপাতত বিরতি নেও। এটা ঘুমের সময়৷ সকালে উঠে আবার ভাবতে শুরু করো।

গুলিস্তা তার মন খারাপ লুকিয়ে রাখতে পারলো না৷ উদাসভাবে বললো,
- আমার ঘুম আসছে না।

ওর গলায় গভীর চুমু দিয়ে তারপর সেখানে  নিজের নাক ঘষতে ঘষতে রেহবার তার সম্মোহনী কন্ঠে প্রস্তাব রাখলো,
- আমার কাছে ঘুম পাড়ানোর অনেকগুলো টেকনিক আছে। এরমধ্যে সবচেয়ে দুষ্টু টেকনিক অবলম্বন করে তোমাকে ঘুম পাড়িয়ে দিতে পারি। দিবো?

রেহবারের বুকে মুখ লুকিয়ে গুলিস্তা সে প্রস্তাব নাকচ করে কোনোরকম বললো,
- আমার মনে হয় ঘুম চলে এসেছে। খুব ঘুম পাচ্ছে৷

রেহবার তখনো ঘুমাচ্ছিলো। গুলিস্তার ঘুম ভেঙে গেলো হঠাৎ করেই। চোখ মেলে ঘুমন্ত রেহবারকে আলতো করে ডাকতে লাগলো,
- রেহবার, রেহবার? শুনুন না।

ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় রেহবারের কপালে ভাঁজ পরলো। কপাল কুচকে বন্ধ চোখেই নিজের গাল থেকে গুলিস্তার হাতটি নামিয়ে তাতে আলতো করে চুমু দিয়ে বললো,
- এতো সকালে উঠতে হবে না৷ আরেকটু ঘুমাও৷

গুলিস্তাকে কাছে টেনে নিয়ে বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরে রেহবার আবার ঘুমিয়ে গেলো। উচ্ছ্বাসে ভাটা পরায় ঠোঁট ফুলিয়ে রেহবারের গলায় মুখ গুজে কিছুক্ষণ ঘুমানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলো গুলিস্তা। অস্থির মন নিয়ে কি ঘুমানো যায়? রেহবারের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতেও ইচ্ছে করছে না। তাই নিজের সাথে নিজেই ফিসফিসিয়ে বললো,
- পাখির জন্য আমি নাম খুঁজে পেয়েছি৷

ওকে অবাক করে দিয়ে রেহবার তার ঘুমঘোর কন্ঠে জবাব দিলো,
- গুড জব।

হে সখাWhere stories live. Discover now