16

31 1 0
                                    


প্রফিট, টার্গেট, পার্সেন্টেজ, সেলস ইত্যাদি শব্দগুলোর প্রতি রেহবারের আগ্রহ ছিলো অনেক। কিন্তু এই মুহুর্তে সাইফুল ইসলামের সাথে বিজনেস আলোচনায় এই শব্দগুলোই যেনো রেহবারের বিরক্তির কারণ হয়ে  দাঁড়িয়েছে। চোরাচোখে বারকয়েক হাতঘড়িতে সময় দেখে নিয়েছে। প্রায় আধাঘন্টা হতে চললো, গুলিস্তা ফিরে আসেনি। ম্যানেজমেন্ট টিমের সেই মেয়েটিকেও দেখা যাচ্ছে না। চিন্তার সুক্ষ্ম রেখা রেহবারের কপালজুড়ে। এর মধ্যে আরও কয়েকজন বিজনেসম্যান এগিয়ে এসে আড্ডায় যুক্ত হলো। এই ফাঁকে রেহবার সবার থেকে বিদায় নিয়ে দ্রুত পা ফেলে রেস্টরুমের দিকে এগিয়ে গেলো।
পথিমধ্যে দেখা হলো সেই মেয়েটির সাথে। রেহবার দ্রুত জানতে চাইলো,
- হোয়ার ইজ শি?
- ম্যাম এখনো ওয়াশরুমেই আছেন। আমি উনার বের হওয়ার অপেক্ষা করছি।

লেডিস ওয়াশরুমের দিকে যেতে ইতস্ততবোধ হচ্ছে ঠিকই তবুও যেতে হচ্ছে। ওয়াশরুমের সামনে আসতেই রেহবারের পায়ের গতি ধীর হলো। বেশ কয়েকজন নারী ওয়াশরুম হতে বের হওয়ার পথে রেহবারকে দেখে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। সেদিকে পাত্তা না দিয়ে রেহবার ভেতরে প্রবেশ করলো।
বেসিনের সামনে উল্টোদিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে গুলিস্তা। ওর সামনে অচেনা  একজন মহিলা দাঁড়িয়ে। উচ্চ স্বরে কিছু একটা বলছে। সেসব রেহবারের কর্ণগোচর হলো না। সে দ্রুত এগিয়ে গিয়ে গুলিস্তার সামনে দাঁড়ালো। গুলিস্তার চোখে মুখে খানিকটা আতংক। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলাটি শক্ত করে গুলিস্তার ডান হাতের কব্জি ধরে রেখেছেন। রেহবারের মনে পরলো সপ্তাহখানিক আগেই একই স্থানে তার দ্বারা গুলিস্তা আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। কালবিলম্ব না করে তার শক্তপোক্ত হাত দ্বারা মহিলাটির হাত থেকে গুলিস্তার হাত ছাড়িয়ে নিলো। হঠাৎ আক্রমণে মহিলাটি অবাক চোখে তাকিয়ে চিৎকার করে উঠলো,
- কে আপনি? লেডিস ওয়াশরুমে কি করছেন?

ততোক্ষণে গুলিস্তাকে একহাতে আগলে নিয়েছে রেহবার। মহিলাটির প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে গুলিস্তার কাছে জানতে চাইলো,
- তুমি ঠিক আছো?

সাদা কাগজের মতো ফ্যাকাশে হয়ে আছে গুলিস্তার মুখ। রেহবারের বুকের সাথে লেপ্টে দাঁড়িয়ে মাথা দুলিয়ে বললো, হু।
ওদের দুজনের দিকে তাকিয়ে মহিলাটির নিজের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেলো৷ নিজের বাজখাঁই গলায় বলে উঠলো,
- ওহ, আপনি ওর হাসবেন্ড!  আপনাকেই তো খুঁজছিলাম।

হে সখাWhere stories live. Discover now