7

42 1 0
                                    


রেহবারদের বাড়ি হতে খানিকটা দূরে একটি সুপারশপ আছে। বাজারসদাই করতে গুলিস্তাকে বেশিদূর যেতে হয়না।
আলমারির একটি ড্রয়ারে রেহবার নিত্যদিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করার জন্য এবং গুলিস্তার নিজস্ব প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট ক্যাশ রেখে দেয়। অন্যদিন গুলিস্তা মালাকে সাথে নিয়ে কেনাকাটা করে নিয়ে আসে। আজকে রেহবার বাড়িতেই আছে। মালাও কাজে আসেনি। এদিকে সবজি শেষ হয়ে গেছে। হলরুমে বসে রেহবার ল্যাপটপে অফিসের কাজ করছিলো। স্টাডিরুমে বসে কাজ করতে পারতো কিন্তু নিচে কিচেনে গুলিস্তা একা একা কাজ করবে তাই ওকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য এখানে বসেই কাজ করছে। যদিও দুজনে নীরবে নিজেদের কাজ করে যাচ্ছে। শুধু মাঝেমধ্যে রেহবারের অবাধ্য চোখ গুলিস্তার দিকে চলে যাচ্ছে। ভেজা চুলগুলো এখন পিঠে ছড়িয়ে দেওয়া। বেসিনের সামনে দাঁড়িয়ে ব্যস্ত ভঙ্গিতে থালা বাসন ধুচ্ছে। সেদিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে আবার নিজের কাজে মনোযোগ দিলো। খানিক বাদে গুলিস্তা এলো এক কাপ ব্ল্যাক কফি হাতে। টেবিলের উপর না রেখে হাতে ধরে দাঁড়িয়ে আছে। অন্য সময় হলে ভীষণ ধীরে শব্দ না করে টেবিলের উপর রেখে চলে যেতো। যাতে রেহবারের কাজে ডিস্টার্ব না হয়। ওকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে রেহবার বুঝে নিলো, ও কিছু বলতে চায়। এমন ছোটখাটো অব্যক্ত ভাষা, নীরব ইশারা সে বুঝতে শিখে গেছে কয়েক মাসের সাংসারিক জীবনে। ল্যাপট্যাপ হতে চোখ সরিয়ে হাত বাড়িয়ে কফি নিতে নিতে বললো,
- কিছু বলবে?

সামান্য সময় ব্যয় না করে গুলিস্তা উত্তর দিলো,
- সবজি শেষ হয়েছে। সুপারশপে যেতে হবে। আপনি কিছুক্ষন একা থাকতে পারবেন না?

কফির কাপে চুমুক দিয়ে রেহবার নিজের হাসি আটকালো। সে কি ছোট বাচ্চা যে নিজের বাড়িতে একা থাকতে ভয় পাবে?
- সেকি! আমি একা থাকবো মানে? একা থাকতে ভয় লাগবে। আমাকেও সাথে নিয়ে চলো প্লিজ।

রেহবারের নাটকীয় ভঙ্গিতে বলা কথাগুলো শুনে গুলিস্তা অবাক হয়ে চেয়ে রইলো। ওর তাকানো দেখে রেহবার আর হাসি চেপে রাখতে পারলো না। হো হো করে ঘর ঘর কাঁপিয়ে হেসে উঠলো। গুলিস্তার হাত ধরে সোফায় বসিয়ে দিয়ে হাতের কফির কাপটা ওর হাতে ধরিয়ে দিলো।
- তুমি এখানে বসে কফি খাও। আমি চট করে রেডী হয়ে আসি।

হে সখাWhere stories live. Discover now