41

21 0 0
                                    


- তবুও তুমি বেবিটা রাখতে চাও?

চল্লিশ উর্ধ ডাক্তার আভার প্রশ্নে গুলিস্তা মলিন হাসলো। পেটের উপর দু হাত রেখে সেদিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো,
- ও ঠিক আছে?

পেশা জীবনে এমন অনেক পেশেন্ট আভা দেখেছেন। নিজের কথা না ভেবে সন্তানের কথা ভাবে। তবে তাদের মধ্যে উৎসাহ, আনন্দ থাকে ভরপুর। গুলিস্তার মধ্যে সেসবের কিছুটা কমতি রয়েছে।
- হ্যাঁ। নাইন উইকস রানিং। পজিশন ঠিকঠাক। ফিটাস যথেষ্ট হেলথি।

অফিসের জরুরি কল এটেন্ট করে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরে এলো রেহবার। গুলিস্তার পাশের চেয়ারে বসে বললো,
- স্যরি। জরুরি কল ছিলো।
- ইটস ওকে।

ওকে বললেও ডাক্তারের চেহারা মোটেও ওকে ধরনের মনে হচ্ছে না। কেমন রাগী, গম্ভীর চেহারা নিয়ে বসে আছে। একটু আগে রুম ছেড়ে বের হওয়ার সময় এমন ছিলো না। দ্বিধায় বাধা পরতে পরতেও রেববার জানতে চাইলো,
- ডিড আই মিস সামথিং? এনিথিং রং ডক্টর? 

আভা উত্তর দেওয়ার আগে মুখে হাসি ঝুলিয়ে  গুলিস্তা উত্তর দিলো,
- সব ঠিক আছে। ডক্টর কিছু খাবারের কথা বলছিলেন। ডায়েট চার্ট ফর প্রেগন্যান্ট ওম্যান। 
- আমাকে বুঝিয়ে দিন ডক্টর। ও এমনিতেও ফাঁকিবাজ। খেতে চায় না।

রেহবারের কথায় গুলিস্তা আলতো হাসে। ডায়েট চার্টের সাথে কিছু ভিটামিন, ক্যালসিয়াম সাজেস্ট করেন আভা।

গুলিস্তার প্রেগন্যান্সির খবরে আম্বিয়া খাতুন যেনো আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছেন। হাসতে হাসতে চাপা ব্যাথা হয়ে গিয়েছে তবুও উনার মুখ থেকে হাসি সরছে না। মায়ের উচ্ছ্বাস দেখে ল্যাপটপের এপাশে রেহবার নিজেও হাসছে। স্টাডিরুমে বসে আম্বিয়া খাতুনের সাথে কথা বলছে রেহবার ও গুলিস্তা। রেহবার যখন গুলিস্তার প্রেগন্যান্সির খবর জানালো গুলিস্তাকে দেখতে চাইলেন আম্বিয়া খাতুন। লাজে ভরা চেহারা নিয়ে রেহবারের চেয়ারের পেছনে দাঁড়িয়ে আছে গুলিস্তা। হঠাৎ খেয়াল হতেই আম্বিয়া খাতুন ধমকে উঠলেন,
- ওকে দাঁড় করিয়ে রেখে তুই বসে আছিস কেনো? ওকে বসতে দে।

ধমক খেয়ে রেহবার চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। গুলিস্তাকে বসতে বললে সে কিছুতেই বসবে না।
- আমি ঠিক আছি। তুমি বসো প্লিজ। আমি এখুনি চলে যাবো। রান্না বসিয়ে এসেছি।

হে সখাWhere stories live. Discover now