"বুঝলাম না, ব্যাথা পেয়েছে মানে ?"
রুমানার প্রশ্নে হুশ হলো নিঝুমের।
এই রে, এখন কি হবে? ওতো কিছু বলেনি মাকে। শুধু আশু জানে। কিন্তু এই অরন্যই যে সেই ছেলে সেটা তো আর আশু জানেনা।
কিন্তু নিঝুম কিছু বলার আগেই আন্টি নিজে থেকে বললেন, "না মানে ওর হাতের কনুইয়ের কাছে এরকম লালচে হয়ে আছে তাই জিজ্ঞেস করলাম।"
"ওহ, আর বলবেন না। রিকশা থেকে নামতে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছে। এত কেয়ারলেস নিজের ব্যাপারে মেয়েটা, " রুমানা না বলে পারলেন না। "এই পাঁজি মেয়েটা নিজেকে একটুও সামলে রাখতে পারেনা, এতো চঞ্চল... ওর টেনশনেই আমার প্রেশার প্রায়ই বেড়ে যায়।"
আসমা বেগম রুমানার কথায় না হেসে পারলেন না। মেয়েটা দেখতে বেশ। ছেলের সাথে মানাবেও ভালো। চেহাড়াটা খুব মনকাড়া। বেশ উচু লম্বাও আছে। এখন ছেলের পছন্দ হলেই হয়। বিয়েতো করতেই চায়না, ধরে বেঁধে নিয়ে এসেছেন।
"তোমার নামটা তো জানলাম না মা? " আসমা বেগমের কথায় নিঝুম একটু হকচকিয়ে গেল। গাড়িতে আসতে আসতে একবার ওনাকে নামটা বলেছিল কিন্তু ও... কি জানি ভুলে গেছে হয়ত।
"কি হল নিঝুম আন্টিকে নামটা বলো।"
বড় ফুপির কথায় তাড়াহুড়ো করে নিজের নামটা দ্বিতীয় বারের মতো বলল নিঝুম, " জি, নিঝুম আফরোজ।"
"নিঝুম আফরোজ.. সুন্দর নাম," এতক্ষণে রায়হান সাহেব কথা বললেন, উনি পাত্রের বাবা।
এরপর ছোটোখাটো কিছু প্রশ্ন, দেশের রাজনীতি, খেলাধুলা বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হলো। রুমানার মনে হলো ছেলের মায়ের নিঝুমকে বেশ পছন্দ হয়েছে। বার বার ওর হাতটা নিয়ে নিজের হাতের মধ্যে রাখছিলেন।
এক পর্যায়ে রায়হান সাহেব হঠাৎ বলে বসলেন,
" আপনারা কিছু মনে না করলে... আমার মনে হয় ওদেরকে একটু আলাদা করে কথা বলতে দেওয়া উচিত। এখনকার ছেলে-মেয়েতো, নিজের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।"শাহেদও, রায়হান সাহেব তালে তাল মেলালেন,
" হ্যাঁ, হ্যাঁ.. নিজেরা নিজেরা ওরা একটু কথা বলুক। আল্টিমেটলি লাইফটা ওদের, ডিসিশনটা ওরা নিলেই ভাল হয়।"
YOU ARE READING
লুকোচুরি
Romanceবাংলা রোমান্টিক থ্রিলার। ভালবাসা বলে কয়ে আসেনা তার জলজ্যান্ত প্রমান নিঝুম নামের মেয়েটি। ভার্সিটি পড়ুয়া হাসিখুশি মেয়েটা হুট করেই প্রেমে পড়ে যায় অচেনা একটি মানুষের। আর তারপরই জন্ম নেয় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত মুহূর্তের, যার ফলশ্রুতিতে অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটতে থাক...