নিঝুম গোাসল থেকে বের হয়েও দেখে অরণ্য একইভাবে বিছানায় বসে আছে। অন্যমনস্ক আর বিষন্নতা দুটো অনুভূতিই স্পষ্ট ফুটে আছে ওর চেহারায়।"কী হয়েছে?"
"উমম... কিছু বললে?"
অরণ্য অন্যমনস্ক ভাবেই নিঝুমের দিকে ঘুরে তাকায়।
"কী হয়েছে? তোমার চেহারা এমন লাগছে কেন? "
" কিছু না পার্থ কল করেছিল। বলল টিম ইনচার্জ আমাকে খুঁজছে। রাতে কয়েকবার নাকি ফোন দিয়েছিল।"
কথাটা শোনার সাথে সাথেই বুকটা কেমন কেঁপে উঠল নিঝুমের। না... অরণ্য হেরে যাবে এমন কথা ও ভাবতেও পারেনা কিন্তু যদি খারাপ কিছু হয়, তখন? গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল ওর।
হাতের তোয়ালটা চেয়ারের উপর ছুড়ে দিয়ে অরণ্যর গা ঘেঁষে বসে পড়ল নিঝুম। ওর মুখ শুকিয়ে গেছে ভয়ে, অরণ্যকে এক সেকেন্ডের জন্যও ওর চোখের আড়াল হতে দিতে ইচ্ছে হচ্ছেনা।
অরণ্য তাকিয়ে দেখে নিঝুমের মুখে দুশ্চিন্তার ছোটখাট একটা পাহাড় তৈরি হয়ে গিয়েছে ততক্ষণে।
"ঝুম..... এটা কী? তোমার মুখের রঙ এমন আলকাতরার মতো দেখাচ্ছে কেন? "
"অরণ্য প্লিজ দুষ্টুমি করোনা.... আমার সত্যি ভয় করছে।"
অরণ্য চুপ করে থাকল কিছুক্ষণ, তার পরে নিঝুমের পিঠে হাত রেখে ওকে টেনে কাছে নিয়ে আসল।
" আমি শুটার হিসেবে খারাপ না বউ, কিন্তু অয়ন যখন মারা গেল তখন আমি এত ভয়নক অবস্থায় ছিলাম যে, ওদের পিছনে দৌড়ানোর মতো মানসিক অবস্থায় ছিলাম না। আর এখন যাবোই যুদ্ধক্ষেত্রে, সুতরাং মানসিক আর শারীরিক প্রিপারেশন দুটোই বেষ্ট রাখতে হবে আর থাকবেও আশা করি। তুমি এতো দুশ্চিন্তা করো না। আমাদের জন্য বেশি বেশি দোয়া করো যেন টীমের সবাই সু্স্থ ভাবে নিজের পরিবারের কাছে ফিরে আসতে পারি।"
নিঝুম উত্তর দিলনা। এসব কথা তো ও নিজেও জানে, কিন্তু তারপরও যে ওর ভয় কাটে না। অরণ্যকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলল ও।
"আচ্ছা বউ... "
"উমম... "
"তোমাকে একটা কথা বলার ছিল।"
YOU ARE READING
লুকোচুরি
Romanceবাংলা রোমান্টিক থ্রিলার। ভালবাসা বলে কয়ে আসেনা তার জলজ্যান্ত প্রমান নিঝুম নামের মেয়েটি। ভার্সিটি পড়ুয়া হাসিখুশি মেয়েটা হুট করেই প্রেমে পড়ে যায় অচেনা একটি মানুষের। আর তারপরই জন্ম নেয় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত মুহূর্তের, যার ফলশ্রুতিতে অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটতে থাক...