নিঝুম কি পরবে বুঝতে পারছেনা। অরণ্য ওই দিন নীল পরতে বলেছিল। কিন্তু আজও কি ও নীলই পরবে? কিন্তু কামিজ পরবে না শাড়ি পরবে? ওহ.... মেয়েদের কাপড় এত রকমের হওয়ার যন্ত্রনাটা খুব। এ পর্যন্ত দশটা কাপড় বের করে আয়নায় ধরছে আর রেখছে নিঝুম। কিন্তু কোনটা যে অরণ্য পছন্দ করবে?
"আপু তুই জিজুকে ফোন দে.... আর ভ্যাজাল এখানেই খতম কর। সবগুলো কাপড়ের আয়রন আজকেই নষ্ট হবে মনে হচ্ছে।"
আশুর কথায় হাসে নিঝুম । একেবারে জিজু! কালও ভাইয়া বলে ডাকছিল।
" আপু তুই হাসছিস কেন? তোর কি মনে হচ্ছে আমি তোর সাথে তামাশা করছি?"
"নারে বাবা। আচ্ছা আর হাসলাম না কিন্তু তুই আমাকে এই বিপদ থেকে বাঁচা প্লিজ। আমি কোনটা পরব এখনও ঠিক করতে পারছিনা," নিঝুম আশুর দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকাল।
"তাহলে বাইরে থেকে আসার সময় আমার জন্য দুটো করনেটো আইসক্রিম আনতে হবে, কোন নড়চড় হওয়া যাবে না," আশু দু'আঙ্গুল তুলে দেখায় মুনাকে।
"দুটো কেনো? তুই তো মানুষ মাত্র একজন। " নিঝুম জিজ্ঞেস করল।
আশু খুব আইসক্রিম খায়, খুব বাজে অভ্যাস আছে ওর এই ব্যাপারে। সুযোগ পেলেই খালি বাইরে থেকে খাবার কিনে আনে।
"তাতে কি? একটা তোর পক্ষ থেকে আর একটা জিজুর পক্ষ থেকে, " আশু হাসে। এই সুযোগ আপুর কাছ থেকে বাইরের কিছু খাওয়ার। নিঝুম বাইরের জিনিস তেমন একটা খেতে চায়না। পারলে ও চানাচুরও বুঝি ঘরে বানিয়ে খায়, একবার বানিয়েও ছিল। কিন্তু তেমন ভালো হয়নি।
"না। আমি একটা এনে দেব, প্রমিস। কিন্তু অরণ্যকে কিছু বলতে পারব না, " নিঝুম হাতের কামিজটা আলমারিতে তুলতে তুলতে বলল।
"তা হলে আমিও তোমার হেল্পের মধ্যে নাই, বুইঝো কিন্তু।"
আশু মুখটা হাড়ির মত করে রাগে। আপুটা সব সময় এমন করে। ওর বাচ্চাকে ও শিওর না খাইয়ে মেরে ফেলবে সুস্থ রাখতে গিয়ে।
"অ্যাই তুই এরকম দুষ্টু কেন? ওকি তোর দুলাভাই হয়েছে এখোনো? " নিঝুম সত্যি বিরক্ত, ওদের বিয়ে এখনও হয়নি আর তার আগেই কি অবস্থা শুরু করে দিয়েছে আশু।
YOU ARE READING
লুকোচুরি
Romanceবাংলা রোমান্টিক থ্রিলার। ভালবাসা বলে কয়ে আসেনা তার জলজ্যান্ত প্রমান নিঝুম নামের মেয়েটি। ভার্সিটি পড়ুয়া হাসিখুশি মেয়েটা হুট করেই প্রেমে পড়ে যায় অচেনা একটি মানুষের। আর তারপরই জন্ম নেয় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত মুহূর্তের, যার ফলশ্রুতিতে অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটতে থাক...