৩৪

501 30 7
                                    

"তুমি এটা কী করলা নিঝুম? তুমি.. তুমি আমাকে কিস করলা কোন সাহসে? " এক ধাক্কা দিয়ে নিঝুমকে দূরে সরিয়ে দিল অয়ন। প্রথমে হতভম্ব হয়ে গেলেও এখন রাগে লাল টকটক করছে ওর  ফর্সা মুখটা।

অরণ্যকে এরকম রাগতে দেখে ভড়কে গেল নিঝুম। অরন্য এরকম উদ্ভট আচরন কেন করছে ওর সাথে কাল থেকে? আদর তো করছেই না শুধু দূরে দূরে থাকছে আর এখন আদরও করছে না। এরকম হওয়ার কথা ছিল নাকি ওদের বিয়ের প্রথম দিনটা? বাজে একটা লোক, মিথ্যুকের হাড্ডি। রাগে দুঃখে চোখে পানি এসে গেল ওর অভিমানে.....

" কেন কী এমন করেছি আমি? তোমাকে চুমো খেতে গেলেও আবার আমার কোর্ট থেকে পারমিশন নেওয়া লাগবে নাকি? একশটা কাগজে তো সাইন করলাম, তাউ এখনো সত্যিকারের বউ হতে পারলাম না।"

কিন্তু নিঝুমের চোখের পানিও এবার অয়নের রাগকে কমাতে পারলনা। এক ঝটকায় দরজাটা খুলে ফুঁসতে ফুঁসতে ঘর থেকে বের হয়ে গেল ও। নিঝুম নির্বাক হয়ে তাকিয়ে রইল, ওর মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে সব। লোকটা কী পাগল হয়ে গেল?

"আম্মু তুমি নিঝুমকে তাড়াতাড়ি ডাক্তার দেখাও তো।"

অভিযোগ যেন গুমরে মরছে অয়নের কন্ঠস্বর জুড়ে... যেমন ছোট বেলায় অরণ্যর বল হারিয়ে গেলে করত। আসমা বিহ্বল দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন ছেলের মুখের দিকে। মন কী শুধুই প্রকৃতিতে হারিয়ে যাওয়া ঘটনাগুলোকে ফিরিয়ো আনতে চায়? উৎকন্ঠিত হয়ে আসমা জানতে চান,
"কেন বাবা কী হয়েছে? "

যেন অয়ন নয়, তার সামনে ছোট্ট অরণ্য এসে দাঁড়িয়েছে... হাতে তার কালি ঝুল মাখা প্রিয় বলটা।

"আরে ও... ও... মানে.. মানে "

" এত মানে মানে করছিস কেন? "

আসমা স্মৃতির পাতা ঠেলে সামনে এগিয়ে আসেন। অয়নের কোন সমস্যা হচ্ছে বোধহয়।

"না, কিছু না... কিন্তু তুমি নিঝুমকে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাও। ওর মাথা খারাপ হয়ে গেছে আম্মু... অথবা ওকে তুমি ওর বাবার বাসায় পাঠিয়ে দাও। এখানে ওর পাগলামি আরো বেড়ে যাচ্ছে। "

"ঠিকআছে পাঠিয়ে দিব কিন্তু তোকেও কিন্তু ওর সাথে যেতে হচ্ছে, কাল ছোটখাট একটা বৌভাত করে পাঠিয়ে দিব," আসমা হাসতে হাসতে বললেন।

লুকোচুরি Where stories live. Discover now