"বাপরে... একদিনে তোদের দুজনের এই হাল, বিয়ের পরে আলাদা থাকবি কি করে তোরা?" অয়নের কথায় লজ্জায় লাল হয়ে গেল নিঝুম। কি আশ্চর্য ও মনে করেছিল এই ছেলে বোধহয় কম কথা বলে, কিন্তু আধাঘন্টার আলাপে ওকে নাস্তানাবুদ করে ছেড়ছে দুই ভাই। একজন ভয়ঙ্কর সব প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে আর মিটমিট করে হাসছে। আর আরেকজন বেহায়ার মত সেটার উত্তর দিচ্ছে। দুটোই সমান ফাজিল।
আসলে অয়ন এসেই নিঝুমকে লম্বা করে একটা সালাম দিয়ে বলল, "ভাবীজান কি অধমের উপর এখনও রেগে আছেন?"
নিঝুম নিজেই ততক্ষণে কিছুটা বুঝতে পেরেছে। কিন্তু তাই বলে এত মিল হবে! দুজনের পোষাক ছাড়া তো পার্থক্য করা ভীষন মুশকিল।
শেষ পর্যন্ত পুরো ঘটনাটা অরণ্যই বলল। পুরোটা শুনে নিঝুম মুখ টকটকে লাল।
ইশশ .. ও যদি জানত যে কালকে অরণ্য ওদের বাসায় যায়নি, তাহলে ভুল করেও ও আজ অরণ্যর সাথে এখানে এসে বসত না। কি লজ্জা লাগছে। বিয়ের কথা পাকা হতে পারলনা আর ও পাত্রের সাথে ড্যাঙ ড্যাঙ করে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাও আবার যদি হয় অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ।
"ভাইয়া তোর লজ্জাবতী তো লাল হতে হতে শেষে পড়ে যাবে চেয়ার থেকে।োী ওকে ধর," অয়নের কথায় নিঝুমের দিকে তাকিয়ে মুচকি একটা হাসি দিল অরণ্য।
" এই আমার বউকে আর লজ্জা দিবিনা।"
অরণ্যর কথায় বুকটা ধরাস করে উঠল নিঝুমের। কি লাগামহীন কথাবার্তা চলছে দুই ভাইয়ের মধ্যে। বিয়ের কথার ব ও হয়নি আর একজন দেখো বউ বউ করে ডাকছে। কি অসভ্য.....
নিঝুম ওদের কথার ফোকরে লজ্জাবনত মুখে একটা স্মিত হাসি দেওয়া ছাড়া আর কিছু বলার সাহস পেল না। বলে যদি শেষে বিপদে পড়ে.. এরা দুজনেই মহা ত্যাদড়।
"তোমরা তাহলে থাক, আমি এখন চলি। তোমাদের মধ্যে কাবাবমে হাড্ডি হবার কোনো শখ নেই আমার, " চেয়ারটা পেছনে ঠেলে উঠে দাঁড়াল অয়ন।
ওকে দাঁড়াতে দেখে নিঝুমও বলে উঠলো,
" আমিও এখন যাব সেই সকালে বেরিয়েছি।""ঝুম প্লিজ একটু বস... চিন্তা করনা, আমি তোমাকে পৌছে দেব বাসায়।"
ВЫ ЧИТАЕТЕ
লুকোচুরি
Любовные романыবাংলা রোমান্টিক থ্রিলার। ভালবাসা বলে কয়ে আসেনা তার জলজ্যান্ত প্রমান নিঝুম নামের মেয়েটি। ভার্সিটি পড়ুয়া হাসিখুশি মেয়েটা হুট করেই প্রেমে পড়ে যায় অচেনা একটি মানুষের। আর তারপরই জন্ম নেয় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত মুহূর্তের, যার ফলশ্রুতিতে অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটতে থাক...