"আশু তুই ওনাদের নিয়ে যা আমি আসছি," নিঝুম আশুর কানে কানে বলল।"কিন্তু আপু " আয়শা হেসে ফেলে।
" ভাইয়া তোর রুমে বসে একা একা করবেটা কি?""আরে তুই যা না আমি আসছি।"
নিঝুমের পিড়াপীড়িতে আয়শা শেষ পর্যন্ত অয়ন আর অরণ্যকে উপরে নিয়ে গেল।
নিঝুম তাড়াতাড়ি রান্নাঘরে গিয়ে ঢুকল। এখানে থাকলে কিছু সময় অন্তত বাঁচা যাবে ওদের শয়তানির হাত থেকে। অরণ্য একা থাকলে যতটা মারাত্মক, দুই ভাই একসাথে থাকলে তারচেয়ে বেশি বিপদজনক। দুটো শরীর কিন্তু মাথা মনে হয় একটা। এক্কেবারে গরুর শিংয়ের মতো। এই জন্য একসাথে হলেই এদের শক্তি বেড়ে যায়... আর ওদের শয়তানিও।
"কি রে নিঝু তুই এখানে রান্নাঘরে কি করিস?" রুমানা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন। মেয়ে এমন সময় রান্নাঘরের কোনায় এসে দাঁড়িয়ে আছে কেন?
"না মানে.. পানি.. মানে..." নিঝুম কি বলবে বুঝতে পারলনা। আজ অরণ্যকে দেখে ওর নার্ভাসনেস বেড়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত বিয়েটা হবে তো? নিঝুম তাড়াতাড়ি কিচেনের কাউন্টারটা আঁকড়ে ধরল। বুঝতে পারছেনা, ওর তো ভীষন খুশি হওয়া উচিত। কিন্তু সেটা বাদ দিয়ে কেন যেন অরণ্য মাথা নিচু করে হাসছে.... এই দৃশ্য বার বার মনে পড়ছে আর বুক মোচড় দিয়ে দিয়ে উঠছে। এই লোক ওকে ফেলে হারিয়ে যাবে না তো?
"পানি কি ওরা কেউ খেতে চেয়েছে নিঝু?" রুমানা ট্রেতে খাবার রাখতে গিয়ে আবার জিজ্ঞেস করলেন।
"হ্যাঁ মানে, ওই অয়ন, না মানে.. উনি.. মানে, " নিঝুমের উত্তর এলোমেলো হয়ে গেলো মায়ের জেরার মুখে।
রুমানা মাথা নাড়লেন... এই মেয়ে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। এই মেয়ে ভবিষ্যতে সংসার করে খেতে পারবে তো? হতাশ সুরে বললেন, " দুই গ্লাস পানি ট্রেতে করে নিয়ে যা ওদের জন্য।"
" আচ্ছা। "
মায়ের কথায় লক্ষী মেয়ের মতো মাথা ঝাকাল নিঝুম। তারপর দুরুদুরু বুকে পা টিপে টিপে উপরে নিজের ঘরে এল। না কারো সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। নিজের ঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে থেমে, বড় করে একটা দম নিল নিঝুম, তারপর সোজা ঘরে ঢুকল। কিন্তু ওকে অবাক করে দিয়ে রুমটা ভীষন রকম ফাঁকা। মনটা দুম করে ভীষণ খারাপ হয়ে গেল নিঝুমের।
ВЫ ЧИТАЕТЕ
লুকোচুরি
Любовные романыবাংলা রোমান্টিক থ্রিলার। ভালবাসা বলে কয়ে আসেনা তার জলজ্যান্ত প্রমান নিঝুম নামের মেয়েটি। ভার্সিটি পড়ুয়া হাসিখুশি মেয়েটা হুট করেই প্রেমে পড়ে যায় অচেনা একটি মানুষের। আর তারপরই জন্ম নেয় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত মুহূর্তের, যার ফলশ্রুতিতে অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটতে থাক...