"এই নাটকের কী খুব বেশি প্রয়োজন ছিল? " ঠাস করে চায়ের কাপটা অরণ্যর সামনে রাখল নিঝুম। রাগে গাটা জ্বলে যাচ্ছে ওর। কী বাচ্চাদের মতো শুরু করেছে ফাহিম ভাইয়ের সামনে এই লোক!
"নাটক হবে কেন? আমার অনার সাথে কথা থাকতে পারেনা? আফটার অল সী ইজ মাই এক্স গার্লফ্রেন্ড।"
"কী বলো... এক্স হবে কেন! আমাদের তো আর সত্যি সত্যি বিয়ে হয়নি। ওটা হচ্ছে লোক দেখান বিয়ে। কাজেই তুমি আরামসে তোমার এক্স, ওয়াইয়ের সাথে ফ্লার্ট করো কিন্তু আমার উপর একটু রহম করো। ফাহিম ভাইয়ের সামনে তোমার এই অনবদ্য অ্যাকটিং দেখাতে যেওনা, বুমেরাং হয়ে শেষেকালে নিজের মাথায় এসেই লাগবে।"
ফোঁস করে উঠল নিঝুম।
"ওহ... বড্ড লাগছে না? আর তোমার ফাহিম ভাই যে খুলেআম তোমাকে বিয়ের প্রেপোজাল দিচ্ছে তার কী? বেয়াদব একটা লোক... মানুষের বিয়ে করা বউ নিয়ে যত টানাটানি," দাঁতে দাঁত ঘষে অরণ্য। ওর এখন আরও রাগ হচ্ছে ওই স্কাউন্ড্রেলটার উপর... আর নিঝুম কিনা তার হয়ে ওর সাথে ওকালতি করতে আসছে?
"তো কী করবে? মানুষ যদি নিজে তার দায়িত্ব এড়ায় তখন অন্য মানুষ তো ছিদ্র খুঁজবেই সেখানে ঢুকে জায়গা করে নেয়ার। এখানে দোষটা কার বেশি, যে সুযোগ খুঁজছে না যে সুযোগ করে দিচ্ছে। "
কথাটা এতই সত্য যে, কথাটা অরণ্যর গায়ে এসিডের মতো এসে লাগল। ভিতরটা একদম জ্বলেপুড়ে খাক গেল ওর।
" আচ্ছা আচ্ছা সব দোষ আমার। এখন আমি তো আর বলিনি যে তাদের মেয়েকে নিয়ে বিদেশে যেয়ে সংসার করব। না...টা মুখের উপর তখনই করে দিতেন। এত ঘুরিয়ে ফিরিয়ে না বলার দরকার কী ছিল।"
অরণ্যর মেজাজের বহর দেখে নিঝুম হতাশ... কোথাকার জল কোথায় গড়াচ্ছে। অরণ্য এখন ইচ্ছে করে পায়ে পারা দিয়ে ঝগড়া বাধাচ্ছে ওর সাথে। ফাহিম ভাই পাশের বেদীতে বসেছিলেন অথচ অরন্য বলছে উনি নাকি নিঝুমের গা ঘেষে বসে কথা বলছিলেন। এক নম্বরের হিংসুটে...... আর কী মিথ্যুক সে তো বলাই বাহুল্য।
"ফাহিম ভাইয়ের সামনে অহনার সাথে ওই ভাবে কথা বলাটা কী খুুব বেশি জরুরি ছিল?" নিঝুম একটু রাগ দেখিয়ে জিজ্ঞেস করল। এই নিয়ে আম্মু এখন অশান্তি শুরু করল বলে।
YOU ARE READING
লুকোচুরি
Romanceবাংলা রোমান্টিক থ্রিলার। ভালবাসা বলে কয়ে আসেনা তার জলজ্যান্ত প্রমান নিঝুম নামের মেয়েটি। ভার্সিটি পড়ুয়া হাসিখুশি মেয়েটা হুট করেই প্রেমে পড়ে যায় অচেনা একটি মানুষের। আর তারপরই জন্ম নেয় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত মুহূর্তের, যার ফলশ্রুতিতে অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটতে থাক...