১৩

914 47 7
                                    

( অপ্রাপ্ত বয়স্কদের না পড়ার অনুরোধ রইল)

"অরু... তোর আর কত সময় লাগবে?"

"এই তো বের হচ্ছি মা। "

"ওরা তো এসে গেছে।"

"এসে গেছে!"

"হ্যাঁ...। "

"অয়ন আসছে?"

"না... তোরা দুটোই এক রকম। এখন ওকে আর কি বলব, তোর শ্বশুরবাড়ি তোরই খোঁজ নাই, ওর তো পিঠের আত্মীয়। তাছাড়া অয়নের আজ দেরি হবে বাড়ি ফিরতে... পাঁচটার আগে অফিস থেকে বের হতে পারবেনা আগেই বলে দিয়েছে।"

"আম্মু আমি আসছি, গায়ে বাতাস লাগিয়ে ঘুরছি না। সরকারি চাকরিতে শ্বশুরবাড়ির লোক আসা উপলক্ষে কোন বিশেষ দিবস বা ভাতার ব্যবস্থার নিয়ম নাই। বসের কাছ থেকে ছুটি ম্যানেজ করতে হয়। "

"সে তুমি  আমাকে বোঝাতে এসো না। তোমার বাপও সারাজীবন সরকারি চাকরি ই করেছে। আমাকে ওই বিষয়ে একদম জ্ঞান দিতে আসবি না তোরা কেউ। আর তিন পাতিল দই আন আসার সময়, টক মিষ্টি যেটা ওটা আনবি।"

"আচ্ছা। আর কিছু? "

"না কিন্তু তুই তাড়াতাড়ি আয়। নিঝুমকে অনেক সুন্দর লাগছে শাড়িতে.. লাল একটা জামদানী। একদম বাড়ির বউয়ের মতো লাগছে। মনে হচ্ছে আজকেই রেখে দেই," আসমা তৃপ্তি সহকারে কথাগুলো বললেন।

মার কথা শুনে হেসে ফেলল অরণ্য। ঝুম বোধহয় ওই শাড়িটাই পরেছে। শেষ পর্যন্ত ওটাই বিয়ের শাড়ি হয়ে গেল ঝুমের, একেই বলে ভাগ্য।

"তা বউ যখন বাড়ও এসেই গেছে, রেখে দিলেই হয় একেবারে... এক খরচেই হয়ে যেত," আসমাকে কথাটা বলেই ফোন কাটল অরণ্য... না হলে মায়ের ডাবল ডোজের ঝাড়ি হজম করতে হবে এখন ওকে।

আসলে ঝুমকে দেখতে প্রথম দফাতেই অরণ্য গেলে আর কোন সমস্যাই থাকত না। ওই দিনে সব ঠিক হলে ছেলে পক্ষের একটা বাড়তি জোর থাকত। বিয়ের তারিখ দেরিতে ফেলার ব্যাপারে দিলারা ফুপু  তখন আর এত মোচড়া মোচড়ি করতে পারতেন না। কিন্তু সেই জিনিসই ওরা দ্বিতীয় দফায় যেয়ে ঠিক করেছে। এখন তো মেয়ে পক্ষের ওজর ইতিমধ্যে আকাশে উঠে গেছে। কিন্তু  ছেলের যে এখন এই মেয়েই চাই। তো বাধ্য হয়েই নিঝুমের অভিভাবকরা যে তারিখ বলছে তাতেই রাজি হতে হচ্ছে ওদের। সব দোষ তোর অরণ্য... সেদিন একটু কম বুঝলে আজ তোর এই দিন দেখতে হতো না।

লুকোচুরি Where stories live. Discover now