৪৪

675 34 23
                                    

নিঝুম মনযোগের সাথে বসে বসে একটা কাঁথা সেলাই করার চেষ্টা করছে। এটা আসমা বেগম ওর হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন আসার সময়। উনি নিজে দুই তিনটা করছেন, তার থেকে একটা ওকে দিয়েছেন যেন অয়নের সাথে বেড়াতে এসে মুড অফ হলে এটা নিয়ে ব্যাস্ত থাকতে পারে নিঝুম। কিন্তু শাশুড়ি যদি ঘুনাক্ষরেও তার বড়ো ছেলের কুকীর্তি টের পেত। অবসর দূরে থাক নিঝুমের নাওয়া খাওয়ার অবস্থা বেহাল করে দিচ্ছে অরণ্য। আধাঘন্টায় দশটা ফোঁড়ও ও ঠিক মতো দিতে পারেনি। সমানে ওর পিঠের নিচে হাত দিয়ে খোঁচাখুচি করে চলেছে অরণ্য পাহাড় সমান ধৈর্য নিয়ে।

"অরণ্য হাত সরাও প্লিজ.."

"আরে আমার ঠান্ডা লাগছে।"

নিঝুমের মনে হলো কটকট করে বাজ পড়ার মতো শব্দ করে ফাজিলটার মাথার উপর পড়ে। ঠান্ডায় বলে সে জমে যাচ্ছে... অথচ রুমের ভিতরের এসি বহাল তবিয়তে চলছে।

"আমার হাতে কিন্তু সুঁই, ফুটলে সব দোষ তোমার।"

"আমিতো সেজন্যই তোমাকে ওটা এখন রাখতে বলছি।"

"আর পাঁচ মিনিট করি প্লিজ, নাহলে মামনি দেখতে চাইলে খুব লজ্জা পাবো।"

"ঝুম আমি কিন্তু এখন যথেষ্ট ফ্রি আছি পরে কিন্তু চাইলেও পারবনা। তখন কিন্তু আমাকে কোন দোষ দিবা না। "

নিঝুম সাথে সাথে কাঁথাটা রেখে দিল। এখন না রাখলে দিনরাত একই কথা শোনাতে থাকবে টেপ রেকর্ডারের মতো।

"এই রাখলাম... এবার খুশি?"

অরণ্য মিটমিট করে হাসতে লাগল। নিঝুম যখন এতো সহজেই ওর কথায় পরাস্ত হয় বেশ লাগে।

"ঝুম... "

"উমম"

"আমার একটা সন্দেহ হচ্ছে।"

"সন্দেহ! কী নিয়ে?"

" বলছি "

নিঝুমের পেটটা জড়িয়ে ধরে ওর হাতদুটো নিজের চুলের মাঝে ঢুকিয়ে দিল অরণ্য," আশু মনে হয় তোমার উনার উপর কাইত।"

নিঝুম মাত্রই অরণ্যর চুলগুলো আলতো মুঠিতে ধরতে যাচ্ছিল। আশুর নামটা শুনে থমকে গেল," মানে? কী বলো এসব।"

লুকোচুরি Where stories live. Discover now