নিঝুম আর আশু এর আগে কোনোদিন লঞ্চে উঠেনি। শুধু বইয়ে পড়েছে। আজ লঞ্চে উঠে ওদের আনন্দ দেখে মনে হচ্ছিল বিশ্বজয় করে ফেলেছে ওরা। অরণ্য খুব মজা পাচ্ছে নিঝুমের খুশিতে ঝলমল মুখটি দেখে। শুধু লঞ্চে উঠেই এত আনন্দ পাবে ঝুম... জানলে আরও আগেই ব্যাপারটা আয়োজন করার চেষ্টা করত ও।
"অরণ্য... এত বড়ো লঞ্চটায় তো অনেক লোক আছে নিশ্চই তাই না? " নিঝুমের চোখে আনন্দের ছটা।
"হ্যাঁ.. অনেক লোক," অরণ্য একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে বলে। ঝুমকে এত সুন্দর কেন লাগছে? শাড়ি পড়লে মাথা খাড়াপ করার মতো সুন্দর লাগে ওকে। এই মুহুর্তে ঝুমের নাকের উপর এক ফোটা ঘাম জ্বল জ্বল করছে। অরণ্য বহুকষ্টে নিজেকে সামলে নেয়। ওর ইচ্ছে হচ্ছে ঝুমের নাকটাই পুরো হাপিশ করে দিতে, কিন্তু সম্ভব না। গাড়িতে বসে ওর ইচ্ছে হচ্ছিল ঝুমকে বুকে জড়িয়ে ধরতে। কিন্তু মুরুব্বিদের সামনে আর সেটা কিভাবে হয়? নইলে অয়ন আর আশু দুজনেই এখন ওদের গোপন বিয়ের খবরটা জানে। ঝুম আশুকে সবটা বলে দিয়েছে। তাই অরণ্যও, অয়নকে সব জানিয়েছে।
সব শুনে অয়ন বলেছে, "তোর শত্রু তোর বন্ধুর কাজটা করে দিয়েছে রে ভাইয়া, না হলে দেখা যেত আমার ভাস্তে - ভাস্তিরা সব বিনা দাওয়াতে বাবা-মায়ের বিয়েতে এসে হাজির।"
.....................
"কিন্তু আমি এত লোকজন কাউকে দেখতে পাচ্ছি না কেন? "
ঝুমের আদুরে গলার স্বরে আবার অস্থিরতা বাড়ে অরণ্যর। পারলে দুকান চেপে ধরত ও কিন্তু তাও তো আবার সহ্য হবেনা। খানিক পর পর ওই গলা না শুনলে মন ভিজেনা ওর, শক্ত কাঠ হয়ে যায়।
"কারন তুমি একটা কেবিনের মালিক," অরণ্য হেসে ফেলল। নিঝুমের লঞ্চ সমন্ধে কোন ধারনা নেই জানে ও।
"তারমানে?"
"তারমানে অনেক লোক দেখতে হলে তোমাকে থার্ড ক্লাসে নিয়ে যেতে হবে। ওখানে স্রেফ চাদর বিছিয়ে তাস পেটায় লোকে। যাবে? "
"ও বাবা না।"
"আচ্ছা আমরা আগে খাওয়া শেষ করি এরপর আমি তোমাকে লঞ্চের ছাদে নিয়ে যাব, ঠিক আছে?"
ESTÁS LEYENDO
লুকোচুরি
Romanceবাংলা রোমান্টিক থ্রিলার। ভালবাসা বলে কয়ে আসেনা তার জলজ্যান্ত প্রমান নিঝুম নামের মেয়েটি। ভার্সিটি পড়ুয়া হাসিখুশি মেয়েটা হুট করেই প্রেমে পড়ে যায় অচেনা একটি মানুষের। আর তারপরই জন্ম নেয় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত মুহূর্তের, যার ফলশ্রুতিতে অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটতে থাক...