পতেঙ্গা বীচে দাঁড়িয়ে দূরে নোঙর করা জাহাজগুলোকে দেখছিল অরণ্য।
অহনা কয়েকবার ওর হাত ধরে টানলেও পানিতে যায়নি অরণ্য। কিছু মুহূর্ত নিঝুমের জন্য তোলা থাক। ভীষন ঠান্ডা লাগছে বলে অহনাকে এড়িয়েছে অরণ্য কিন্ত আসলে ওর খুব
বোর লাগছে। অহনার ন্যাকামি দেখে মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে একটা ধাক্কা দিয়ে অহনাকে সমুদ্রের পানিতে ফেলে দেয়। রাইসুলকে খুঁজে পেতে অহনাকে না লাগলে এই কাজটা বোধহয় অরণ্য সবার আগে করতো... হুহ।মানুষ আসলে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেনা। অহনা না হয়ে সঙ্গী নিঝুম হলে অরণ্য নিশ্চিত এতোক্ষনে ওই বিশাল জলরাশির প্রাচুর্যের মাঝে নিজেকে খুঁজে পেত। আবার ওর জায়গায় অয়ন হলেও হয়তো এই মুহূর্তে আনন্দে ভাসত কিন্তু ওর ভীষন বাজে লাগছে অহনার সাথে সময় কাটাতে। কখন যে মেজরের মেসেজটা আসবে।
ঠিক তখনই টিং শব্দ করে একটা মেসেজ আসল অরণ্যর ফোনে। মেসেজটা দেখতেই শরীরে একটা শিহরন বয়ে গেল অরণ্যর। শেষ পর্যন্ত ওরা তাহলে যাচ্ছে। মেজর মশিউরের ম্যাসেজে ওর জন্য বিশেষ কিছু নির্দেশনা দেয়া আছে। বিশেষ কিছু অস্ত্র ওর জন্য রাখা হয়েছে। সেগুলো ওখান থেকে সংগ্রহ করে ওকে অহনাকে নিয়ে বের হতে হবে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। সাথে ওর জন্য একটা রোডম্যাপ দেওয়া হয়েছে ওর পিলো কাভারের ভিতরেই। যেহেতু ওদের প্ল্যান এ বাতিল হয়েছে তাই পুরো পথটাই অরণ্য, অহনার সাথে যাবে। এখন অহনা যদি ওই টানেলটাই ব্যবহার করে তবে অরণ্য একটা সিগন্যাল দিবে আর যদি ভিন্ন রাস্তা দিয়ে ঢোকে তবে দুটো। যদি কোন কারনে মোবাইল নেটওয়ার্ক ডাউন থাকে সেক্ষেত্রে হাই কাভারেজের জন্য আলাদা ফোন রাখা হয়েছে ওর অস্ত্রের সাথে। তবে এগুলো যেহেতু বিশেষ একটা চেহারার হয়ে থাকে তাই অহনার সামনে ওটা ব্যবহার না করতেই নির্দেশ দেয়া হয়েছে ওকে, আর করলেও অত্যন্ত সতর্কতার সাথে। কারন এই হাসতে থাকা অহনাই প্রয়োজনে ওকে ভয়নক আক্রমন করে বসতে পারে। রাইসুল ওর নিজের লোকদের বাইরের দেশ থেকে ট্রেইনার এনে ট্রেনিং দেওয়ায়। অহনারও সেই হিসেবে যথেষ্ট ট্রেনিং আছে ধরে নেয়া হচ্ছে।
YOU ARE READING
লুকোচুরি
Romanceবাংলা রোমান্টিক থ্রিলার। ভালবাসা বলে কয়ে আসেনা তার জলজ্যান্ত প্রমান নিঝুম নামের মেয়েটি। ভার্সিটি পড়ুয়া হাসিখুশি মেয়েটা হুট করেই প্রেমে পড়ে যায় অচেনা একটি মানুষের। আর তারপরই জন্ম নেয় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত মুহূর্তের, যার ফলশ্রুতিতে অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটতে থাক...