"কি ব্যাপার তোমরা কাঁদছ কেন?" কেউ একজন জানালার কাঁচটা ভাল করে সরিয়ে জানালার ফ্রেমে বসে পড়ল ধপ করে।
" আ.. আপনি? ", স্বরটা পরিচিত হওয়ায় নিঝুম আর আশু প্রায় একসাথে চমকে উঠল জানালার দিকে তাকিয়ে।
"সরি.. সামনে দিয়ে এটা নিয়ে আসলে প্রবলেম হতে পারে, তাই এখান দিয়েই আসলাম। আমার কিন্তু অন্য কোন ইনটেনশন নেই। আবার খারাপ ছেলে মনে করোনা আমাকে।"
অরণ্য একহাতে শার্টের ময়লাগুলো ঝারতে ঝারতে বলল। " কিন্তু তোমাদের পাইপে এত ময়লা হবে বুঝতে পারিনি।"
নিঝুম হাসবে না কাঁদবে বুঝতে পারলনা। অরণ্য পাইপ বেয়ে উপরে উঠে এসেছে! এই লোক কি পাগল? বিকেল থেকে ওকে একবার দেখার জন্য নিঝুম মরে যাচ্ছে আর এই লোক.. একটা যা ইচ্ছা তাই । নিঝুম খুব ভাল করে বুঝতে পারছে, ও জেনে বুঝে আগুনে লাফ দিতে যাচ্ছে পিপীলিকার মতো। কথায় আছে না, পিপীলিকার পাখা হয় মরিবার তরে।
নিঝুম যে কখন আশুকে ছেড়ে অরণ্যর সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে বুঝতে পারেনি ও নিজেও। অরণ্য যখন জিজ্ঞেস করল," কি হয়েছে ঝুম, এমন ভাবে দেখছ কেন? "
নিঝুমের মনে হলো এই মুহুর্তে আকাশের চাঁদ হাতে পেলেও ওর এতটা আনন্দ হবেনা। আনন্দে বুকের ভেতর যেন হাতুরি পেটা শুরু হয়ে গেছে। চোখের পানি আগের চেয়েও দ্বিগুন গতিতে পড়ছে। কিছু বোঝার আগেই অরণ্যর বুকে ঝাপিয়ে পড়ল ও। অরণ্যর কিছু হয়নি, ওর অরণ্য সুস্থ আছে। অরণ্যকে ছুঁতে পেরেও যেন শান্তি হচ্ছিল না নিঝুমের।
অরণ্য এরকম ঘটনার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিল না। আর সেটা যদি হয় নিঝুমের কাছ থেকে, তাহলে তো একেবারেই অবিশ্বাস্য।
নিঝুম দুহাত দিয়ে ওকে জাপটে ধরে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। তাও সেটা আবার ওর ছোট বোন আশুর সামনে। হঠাত অ্যালার্মের মতো কিছু একটা অরণ্যকে সতর্ক করে তোলে।
এ বাড়ির সবাই ঠিক আছে তো? কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি তো? কিছু একটা তো হয়েছে। তা না হলে দুইবোন একসাথে এরকম গলা ধরে কাঁদবে কেন?
ইশশ... তখন ওরকম হুট করে রাগ করে চলে যাওয়াটা একদমই উচিৎ হয়নি অরণ্যর। কিন্তু কি করবে, শালা এই রাগটাই ওকে ডোবাবে। রাগ হলে কেন যেন হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ও।নিজেকে একদমই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না।
ESTÁS LEYENDO
লুকোচুরি
Romanceবাংলা রোমান্টিক থ্রিলার। ভালবাসা বলে কয়ে আসেনা তার জলজ্যান্ত প্রমান নিঝুম নামের মেয়েটি। ভার্সিটি পড়ুয়া হাসিখুশি মেয়েটা হুট করেই প্রেমে পড়ে যায় অচেনা একটি মানুষের। আর তারপরই জন্ম নেয় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত মুহূর্তের, যার ফলশ্রুতিতে অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটতে থাক...