আজ অনেকদিন পর ঝুমকে লজ্জায় লাল নীল হতে দেখল অরণ্য। ভালই লাগছে, ওদের বিয়েটা হয়ে যাওয়ার পরও এমন লাগেনি নিঝুমকে। উল্টো রাগে, অপমানে লাল হয়ে ছিল মুখটা সেদিন। অবশ্য ওই মুহূর্তে ওটাই স্বাভাবিক ছিল। মুখে না বললেও অরণয় নিজেও তো ভিতরে ভিতরে লজ্জায় কুঁকড়ে ছিল বেশ কিছুদিন।
কিন্তু আজ সত্যি সত্যি নতুন বউ লাগছে ওর ঝুমকে। ছোট ছোট দুটো ঝুমকো আর ছোট্ট একটা টিপেই এত অসম্ভব সুন্দর লাগছে যে , অরণ্যর মাথা ঘুড়াচ্ছে রীতিমতো, বুক ধরফর করছে।
মেজাজও একটি চটল অরণ্যর, ঝুমকে এখনই ওকে দিয়ে দিলে কি হতো শশুড় মশাইর। না আরো পনেরদিন ঝুলিয়ে রাখবে। ওর জান বেরিয়ে যাচ্ছে পাইপ বাইতে বাইতে আর এখন সে রাস্তাও বন্ধ করে রেখেছে, ফুপু শাশুড়ি।
"ভাইয়া আপনি এবার ভাবীকে দেখা বাদ দেন। না হলে বেচারি লাল হতে হতে চেরির মতো রঙ ধরবে। "
নাবিলার কথায় অরণ্য লজ্জা পাওয়ার বদলে হাসল। নাবিলা ওর ক্লোজ ফ্রেন্ড শফিকের স্ত্রী। ওদের দুই ক্লাস জুনিয়র ছিল নাবিলা ভার্সিটিতে।
শফিক আর নাবিলার বিয়ে হয়েছে প্রায় তিন বছর। নাবিলার বড়লোক বাবা প্রথমে শফিকের সাথে বিয়েতে একদমই রাজি ছিলনা কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি করে যে ওদের বিয়েতে রাজি হয়ে গেলেন ঠিক বোঝা গেল না। তবে এখন শফিককে জামাই হিসেবে বেশ আদর যত্নই করেন তিনি।
নিঝুম নাবিলার কথার হাত থেকে বাঁচার জন্য তাড়াতাড়ি রান্নাঘরে গিয়ে ঢুকল।
নাবিলা অনেক কিছু রান্না করেছে আজ। আজ শফিক আর নাবিলার বিবাহ বার্ষিকী। এই উপলক্ষে বেশ কিছু বন্ধু বান্ধব কে দাওয়াত করেছে ওরা। ফাঁকতালে অরণ্যর সাথে সাথে নিঝুমও দাওয়াত পেয়ে গিয়েছে সেই অনুষ্ঠানে।
আজই প্রথমবারের মতো নাবিলার সাথে পরিচয় হলো নিঝুমের, কিন্তু প্রথম দেখাতেই নাবিলাকে খুব হাসিখুশি আর মিশুক মনে হয়েছে নিঝুমের। শফিক আর নাবিলার এক বছরের একটা ছেলে আছে... শায়ান। আসার পর থেকে নিঝুম এতক্ষণ ওকে কোলে নিয়েই বসেছিল।
YOU ARE READING
লুকোচুরি
Romanceবাংলা রোমান্টিক থ্রিলার। ভালবাসা বলে কয়ে আসেনা তার জলজ্যান্ত প্রমান নিঝুম নামের মেয়েটি। ভার্সিটি পড়ুয়া হাসিখুশি মেয়েটা হুট করেই প্রেমে পড়ে যায় অচেনা একটি মানুষের। আর তারপরই জন্ম নেয় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত মুহূর্তের, যার ফলশ্রুতিতে অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটতে থাক...