মিটিং থেকে বের হয়েই আজ নিঝুমকে ফোন দিল অরণ্য। দুপুরে খাওয়ার পরে একবার কথা হয়ছিল।তারপর থেকে আর কথা হয়নি। ঘড়িতে রাত প্রায় একটা বাজে। অয়নকে ফোন দিয়ে গ্যারেজ এর চাবিটা ওর রুমে রাখতে বলল অরণ্য। বাসায় ফিরে যত রাতই হোক গাড়ির ইনসুরেন্সের কাগজের লাস্ট ডেটটা দেখতে হবে ওকে আজ। বাবার গাড়িটা মূলত ওই চালায়। অয়ন কদাচিত ব্যবহার করে। তা না হলে বাসার মেইনগেটের চাবি একটা করে ওদের চার জনের কাছেই আছে। তাই রাত হলেও বাসায় ঢুকতে কোনো সমস্যা হয় না অরণ্যর। প্রথম প্রথম আসমা রাত জেগে বসে থাকতেন ওর জন্য কিন্তু এখন অরণ্যর রাগারাগিতে ওর খাবার টেবিলে ঢেকে রেখে শুতে চলে যান তিনি। ওকে প্রায়ই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য বাইরে খেতে হয়, মাকে তাই এতো রাত অবধি বসিয়ে রাখতে চায় না অরণ্য।
ঝুমের জন্যও একটা স্পেয়ার চাবি বানাতে হবে ভাবতে ভাবতে অফিসের গাড়িতে উঠে বসল অরণ্য। ড্রাইভার মুর্শিদ তখন বসে বসে ঢুলছে ঘুমে।
প্রথমেই ঝুমদের বাসায় যেতে চেয়েছিল অরণ্য। কিন্তু সহকর্মী পার্থ সাথে থাকায় খানিকটা পথ ওকে এখন উল্টো যেতে হবে। তবে পার্থ ছেলেটা খুব ভাল আর খুব মজা করে কথা বলতে পারে। অল্প কিছু দিনেই ওর সাথে বেশ ক্লোজ হয়ে গিয়েছে অরণ্য।
তবে পার্থ ছেলেটার মনে খুব বেশি দয়ামায়া। এত মায়া নিয়ে ও এই প্রফেশনে কেন এসেছে সেটাও আরেক অদ্ভুত ব্যাপার। ও হচ্ছে কেমন যেন একটু কবি টাইপের লোক। তবে ছেলেটার জীবনে খুব দুঃখ জনক একটা অধ্যায় আছে সেটার জন্যই হয়ত ওর এই জীবনে আসা।
পার্থকে ওর বাসার সামনে নামিয়ে দিয়েই অরণ্য গাড়ি ঘোরাতে বলল। উহ... কতক্ষণ বউটাকে দেখেনা। এখনি বিয়ে করতে পারলে বেশ হত। তা না দুনিয়ার লোক নাচবে, গাইবে, খাবে বলে ওদের চারা মুখে দিয়ে চাবাতে হবে। এ যেন ময়রার দোকানের মিষ্টি। আলমারিতে কাচ দিয়ে আটকানো। যতই লাফালাফি করো লাভ নেই। যতই লোভ হোক না কেন দেখেই তৃপ্তি পেতে হবে। জঘন্য... এমন হবে জানলে ও জিন্দেগীতে এরকম সম্মন্ধ করে বিয়েতে রাজি হত না। এর চেয়ে তো প্রেম করে কোর্ট ম্যারেজ করা ভাল, সব ঝামেলা এক বেলায় শেষ। মা একটু চিল্লাত তারপর সব ঠান্ডা।
YOU ARE READING
লুকোচুরি
Romanceবাংলা রোমান্টিক থ্রিলার। ভালবাসা বলে কয়ে আসেনা তার জলজ্যান্ত প্রমান নিঝুম নামের মেয়েটি। ভার্সিটি পড়ুয়া হাসিখুশি মেয়েটা হুট করেই প্রেমে পড়ে যায় অচেনা একটি মানুষের। আর তারপরই জন্ম নেয় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত মুহূর্তের, যার ফলশ্রুতিতে অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটতে থাক...