"নিঝু আমি কিছু বলছি? ওরকম মুখ করে দাঁড়িয়ে আছিস কেন? "
কথাটা শুনে অরণ্যর হার্টবিট একটা মিস গেল। এটা তো ঝুমের আম্মুর গলা। কোনো কারনে উনি যদি ভিতরে আসেন। নো ওয়ে...৷ ঝুম কোনোভাবে ঠেকাও প্লিজ।
"কিরে ওরকম করে তাকিয়ে আছিস কেন? শরীর খারাপ নাকি?" রুমানা নিঝুমের মুখের দিকে তাকিয়ে একটু ভয় পেলেন। মেয়েটার চেহারা এরকম ফ্যাকাসে লাগছে কেন?
"শরীর... নাতো। আম্মু তুমি চা হাতে এখানে দাঁড়িয়ে আছ কেন? কার চা এটা?"
নিঝুমের মাথা কাজ করছেনা। কি করবে ও এখন ? আম্মু যদি শেভিং লোশনের গন্ধ খুঁজতে যেয়ে বাথরুমে ঢুকে পড়ে।
"আরে তোর বাবা চা খেতে চাইল, তাই নিয়ে যাচ্ছিলাম কিন্তু তুই এত জোরে চিৎকার করলি কেন ?"
বাতাসে আবার নাক শুঁকলেন রুমানা। ঘরটায় কেমন একটা গন্ধ.. অপরিচিত। নিঝু ছোট থাকতে ওর রুমে ঢুকলে সব সময়ই কেমন একটা চকলেটের গন্ধ পেতেন রুমানা । নিঝুমের স্বভাব ছিল সব চকলেট পড়ার টেবিলের ড্রয়ারের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখা। কিন্তু সময়ের সাথে সব কেমন পাল্টে যাচ্ছে।
"আমি... চিৎকার করছিলাম কেন? আসলে না আম্মু বাথরুমে এত্তবড় একটা তেলাপোকা ছিল। ওটা গা বেয়ে উপরে উঠে আসছিল, কেমন কাঁটা কাঁটা হাত পা। তাই ভয়ে ওরকম জোরে চিৎকার দিয়েছি।"
নিঝুম খাবি খেতে খেতে উত্তর দিল। ওর চোখ দুটো তখন অরণ্যর ইউনিফর্মের দিকে। আল্লাহ প্লিজ আম্মুর হাত থেকে বাঁচিয়ে দাও। অরণ্য এই ঘরের মধ্যে আছে জানলে কোন দিনও আশুর ঘর থেকে ফিরে এসে দরজা খোলা রেখে দিত না ও।
কিন্তু এখন কি হবে? আম্মু যদি দেখে ফেলে? অরণ্য ধরা পড়লে ওদের জীবনটা একদম হালুয়া করে ফেলবে বড় ফুপি। ওনার বড়ো বড়ো চোখের দিকে তাকালে নিঝুমের এমনিতেই প্যালপিটিশন শুরু হয়ে যায়। আর অরণ্য এভাবে ওর রুমে ধরা খেলে তো ছি ছি কার শুরু হয়ে যাবে। আত্মীয় স্বজনরা যে যেভাবে পারবে কথা শোনাবে ওদের চরিত্র নিয়ে। আর সেটা ঠেকাতে যেয়ে যদি ওদের বিয়ের কথাটা একবার কারও কানে যায়, তাহলে তো সব শেষ। ফুপিদের কথার চোটে আব্বু সবার আগে হার্টফেইল করবে। না না সেটা কিছুতেই হতে দেওয়া যাবে না।
YOU ARE READING
লুকোচুরি
Romanceবাংলা রোমান্টিক থ্রিলার। ভালবাসা বলে কয়ে আসেনা তার জলজ্যান্ত প্রমান নিঝুম নামের মেয়েটি। ভার্সিটি পড়ুয়া হাসিখুশি মেয়েটা হুট করেই প্রেমে পড়ে যায় অচেনা একটি মানুষের। আর তারপরই জন্ম নেয় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত মুহূর্তের, যার ফলশ্রুতিতে অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটতে থাক...