"তুই এতটা কাছের তাও কেন খুব দূরের মনে হয় ?
তুই এতটা আদরের তাও তোর গালদুটো আমার আর ছোঁয়া হয়না।
কিন্তু জানিস, তোকে না আমি আমার মনের আয়নায় ইচ্ছে হলেই ছুঁই,
তোর বাড়ান হাতখানা তাই আমার জন্য জলে ডোবা মানুষের মতো শেষ আশ্রয়।
তুই যদি অনেক দূরে চলে যাস,
তবে তোকে খুঁজতে খুঁজতেই হয়ত একদিন আমিও হারিয়ে যাব দূরে কোথাও, নাম না জানা কোনো দেশে।
সেদিন তুই যেন আবার আমায় খুঁজে মরিস না।
আমি তো তোর মাঝেই আছি, তোর বুকে ইচ্ছে নদী হয়ে।"
"অরণ্য....। "" কী? "
"আমার না খুব ভয় করে। "
"ভয়? কিসের ভয়?"
"আমাদের বিয়ের কথাটা কেউ জেনে ফেলবে নাতো? "
"কি জানি, কেন বলত? "
"না মানে যদি কোনোভাবে ঘটনাটা আম্মু - আব্বু বা বড়ফুপির কানে পৌঁছে যায় তা হলে কি হবে? "
অরণ্য হেসে ফেলল। নিঝুমের বড় ফুপি ওদের বিয়ের ঘটক। কিন্তু এটাও সত্যি যে ব্যাপারটা উনি কোনোভাবে জানতে পারলে, নিঝুমকে উনি আস্ত রাখবেন না, একেবারে বার-বি-কিউ করে খেয়ে ফেলবেন।
বিয়ের কাবিনটা যত দ্রুত সম্ভব ঝুমের কাছে দিতে হবে। এটা ওর জন্য একটা বাড়তি নিরাপত্তা। কখনও যদি উল্টোপাল্টা পরিস্থিতি তৈরী হয়.... তা হলে অন্তত আইনীভাবে ও লড়তে পারবে সমাজের বিরুদ্ধে। কেন যে কথাটা দোল খেল ওর মনের মধ্যে।
"অরণ্য... "
"হুমম...."
"আমাকে কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাবে?"
নিঝুমের কথায় অরণ্যর চোখ কপালে উঠল। ম্যাডাম এখনও লঞ্চের বেডে শুয়ে আছে আর বলে কিনা ঘুরতে নিয়ে যাবে?
"আরো বেড়াতে হবে? "
"আরো মানে? "
"মানে আমরা তো অলরেডি বেড়াচ্ছি।"
"হ্যাঁ তা বেড়াচ্ছি কিন্তু এখানে তো সবাই আছে। সবার সামনে তো হাতটা ধরতেও ভয় লাগে আমার।"
নিঝুমের কথায় অরণ্য হো হো করে হেসে উঠল।
" তার মধ্যেও আমি কিন্তু তোমাকে পেয়ে গেছি।"
YOU ARE READING
লুকোচুরি
Romanceবাংলা রোমান্টিক থ্রিলার। ভালবাসা বলে কয়ে আসেনা তার জলজ্যান্ত প্রমান নিঝুম নামের মেয়েটি। ভার্সিটি পড়ুয়া হাসিখুশি মেয়েটা হুট করেই প্রেমে পড়ে যায় অচেনা একটি মানুষের। আর তারপরই জন্ম নেয় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত মুহূর্তের, যার ফলশ্রুতিতে অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটতে থাক...