১১

660 44 5
                                    

কলিং বেলের শব্দ এত বিশ্রী জানা ছিল না আশুর। একদম জঘন্য। ও এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো চেয়ার থেকে উঠলো দরজা খুলতে। প্রতিবারই আশু মনে করছে এই বুঝি আপু এল কিন্তু প্রতিবারই ও ধোঁকা খাচ্ছে।

ঘড়ির কাঁটা সন্ধ্যা সাতটা ছুঁই ছুঁই করছে। আশু নিঝুমের ফোনে ফোন দিলে শুধু নট রিচেবেল বলছে আর অরণ্যকে ফোন দিলে বলছে, "আশু আমরা একটু পরেই আসছি। "

ওদিকে ওর মা বড়ো মেয়ের চিন্তায় অস্থির হয়ে যাচ্ছেন।

কিন্তু আশু দরজা খুলে দেখলো এবারও অন্য  লোক। সবুজ নামের এক পিচ্চি ছেলেকে লন্ড্রী থেকে কাপড় দিয়ে পাঠিয়েছে মনিরুল চাচা।

লন্ড্রী ব্যাগটা রেখে চরম বিরক্তির সাথে বিরবির করতে করতে আবার পড়ার টেবিলে গিয়ে বসল আশু।

....................................

নিঝুমের একফোঁটা ইচ্ছে হচ্ছে না এই লোকের সাথে কথা বলার। গাড়ি ওদের বাড়ির গেটের কাছে দাঁড়ানোর সাথে সাথে নিঝুম দরজাটা খুলে বের হয়ে গেল। ওর এতো রাগ হচ্ছিল যে নিজের  পার্সটা সঙ্গে নেয়ার কথাও নিঝুমের মনে থাকল না।

ডোরবেল বাজাতেই দরজাটা খুলে গেল।

" আপু তোরা এত দেরি করলি কোন সাহসে...  আম্মু কি পরিমান টেনশন করছিল সে খবর রাখিস! অলরেডি তার প্রেশার বেড়ে হাই হয়ে গিয়েছে।"

"কি আশ্চর্য... মানুষ একদম বললেই সবসময় টাইম মত পৌছাতে পারে? তার জন্য প্রেশার কেন বাড়াতে হবে? বিয়ে দিলে তো মেয়ে বাইরে থেকে কখন বাসায় আসবে যাবে সে খবরও পাবে না, তখন কি করবে... আম্মু?" নিঝুম উল্টো রাগ ঝাড়ল আশুর উপর।

"আশ্চর্য...  আমি  কি করেছি? তুই আমার উপর কেন রাগছিস?" আশু অবাক। ও মনে করেছিল সারাদিন ঘুরে ফিরে আপু এখন হাওয়ায় উড়তে থাকবে অথচ মুখ দেখে মনে হচ্ছে তার উল্টো অবস্থা।

"কিছু না... সর সামনে থেকে," নিঝুম আর দাঁড়াল না। সোজা সিড়ি বেয়ে উপরে চলে গেল।

আশু কিছুই বুঝল না। ও কি এমন বলল যে আপু এত চোটপাট দেখাচ্ছে ওর উপর।

"কারও ভাল করতে নেই। সবাই পচা, শুধু এই বাচ্চা মেয়েটার উপর যতো পারে তেজ দেখায়... হুহ্। "

লুকোচুরি Where stories live. Discover now