ভুতুড়ে চাকরি (রাফায়েল সিরিজ ১০)

1K 40 2
                                    

তন্বী চাকরিটা বলতে গেলে একদম হঠাৎ করেই হয়ে গেল । চাকরির এই বাজারে এই ভাবে যে ও চাকরিটা পেয়ে যাবে সেটা ও ভাবতেও পারে নি । সবে মাত্র অনার্স শেষ করেছে । মাস্টার্সে তখনও ভর্তি হয় নি । মাস্টার্স করবে কি না, সেটা নিয়েও ভাবছে । নাকি এখন থেকেই সরকারি চাকরীর জন্য চেষ্টা শুরু করবে সেটাও ও ভাবছিলো । বিডি জবসে এমনিই কয়েকটা জবের জন্য এ্প্লাই করে রেখেছিলো । কিন্তু কোন দিন যে ডাক পাবে সেটা ও ভাবতেও পারে নি । ভাইভা কল পেয়ে খানিকটা অবাক হয়েছিলো ।

ভাইভা দেওয়ারও মাস দুয়েক পরে যখন চাকরির জন্য কলটা পেল, প্রথমে ভেবেছিলো হয়তো কেউ ওর সাথে কেউ মশকরা করছে । মাস দুয়েক আগে সেই সুসজ্জিত কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দিয়েছিলো সেটা ওর মনে আছে । চাকরি হলে সাধারনত সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই কল চলে আসে । ভেবেছিলো আর বুঝি কল আসবে না । কিন্তু যখন সত্যিই সত্যিই এপয়েন্টমেন্ট লেটার চলে এল ও কিছুতেই নিজের ভাগ্যকে ঠিক বিশ্বাস করতে পারছিলো না । তাও আবার এমন একটা চমৎকার অফিসে । তন্বীকে আলাদা একটা ডেস্ক দেওয়া হল । বিশাল বড় রুমে সবার আলাদা ডেস্ক, কার্ডবোর্ডের পার্টিশন দেওয়া । আনন্দে তন্বীর চোখে পানি চলে এল ।

প্রথম সপ্তাহ তন্বীর চাকরি খুব ভালই চললো । সবার সাথে পরিচিত হওয়া কাজ বুঝে নেওয়া এই সবে কেটে গেল প্রথম সপ্তাহটা । সবাই বেশ হাসি খুশি এবং সবাই ওকে হাসি মুখেই গ্রহন করলো । ওর উপরে থাকা শাহেদ আর জনি সাহেবকে ওর খুবই বন্ধুবাস্যল মনে হল । অফিসের ম্যানেজারও বেশ চমৎকার মানুষ তবে কাজ-কর্মের বেলাতে তিনি বেশ কড়া । ফাঁকি দিলে বেশ বকা দেন । ওর কাজটা বেশ গুরুত্বপূর্ন আর একটু রিস্কিও বটে । কারন ওর হাত দিয়েও কোম্পানির সব টাকা পয়সার হিসাব যাবে ম্যানেজার সাহেবের কাছে । একটু গড়বড় হওয়ার উপায় নেই ।

তন্বী শুনেছে এর আগে যে জন ওর জায়গাতে কাজ করতো সে নাকি বড় রকমের টাকা পয়সার গোলমাল করেছিলো । তার নামে মামলাও হতে যাচ্ছিলো, ঠিক তখনই সে নাকি এই অফিসেই সুইসাইড করে । অফিস আর বেশি উচ্চবাচ্চ করে নি । চেপে গিয়েছে ।

অতি-প্রাকৃত গল্পWhere stories live. Discover now