জাস্কোন্রিব (রাফায়েল সিরিজ ১২)

1.2K 40 7
                                    

মেয়েটি কত সময় ধরে দৌড়াচ্ছে সে বলতে পারবে না । তার কাছে মনে হচ্ছে অন্তত কাল ধরে দৌড়াচ্ছে । পায়ের নিচে শক্ত মাটির আঘাতে মেয়েটির নরম পা ক্ষত বিক্ষত হয়ে যাচ্ছে কিন্তু সেদিকে মেয়েটির কোন লক্ষ্য নেই । তার কেবল একটা কথাই মনে হচ্ছে তাকে সামনে দৌড়াতে হবে । নয়তো সেই জন্তুটা তাকে ওকে ঠিকই ধরে ফেলবে । মেয়েটি ভয়ের কারণে পেছনে তাকাতেও পারছে না । জন্তুটার পায়ের শব্দ ঠিকই শুনতে পাচ্ছে । মেয়েটির কেবল মনে হচ্ছে ওর থামলে চলবে না । ওকে দৌড়ে যেতেই হবে । নয়তো জন্তু টা ওকে ধরে ফেলবে । আর যদি জন্তুটা ওকে ধরতে পারে তাহলে কি হবে সেটা ও ঠিকই জানে না । মেয়েটা দৌড়াতে থাকে । তাকে দৌড়াতে হবে ।

এক

মানুষটার দিকে তাকিয়ে অনিক বেশ অবাক হল। ও ভেবেছিল হয়তো অনেক বয়স্ক কোন লোক হবে । নয়তো লম্বা আলখাল্লা পরা কেউ, চুল দাড়ি দিয়ে মুখ ভর্তি থাকবে। তাই যখন মিশুকে ওকে নিয়ে এই ক্যাফেতে আসলো ও মিশুকে বলেছিলো যে জায়গাটা ঠিক আছে কি না ! মিশু সেই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ওকে চুপ করে অপেক্ষা করে থাকতে বলল । তারপরই এই মানুষটাকে ওদের দিকে এগিয়ে আসতে দেখলো । মিশুকে উঠে দাড়াতে দেখে অনিকের মনে হল হল এই কি সেই লোক ? কিন্তু সে তো অন্য কাউকে আশা করেছে! এই লোক দেখা যাচ্ছে দিব্যি আধুনিক স্মার্ট লোক! এই লোক ভূতের ওঝা!

অনিকের আবার মনে হল হয়তো মানুষটা মিশুর পরিচিত কেউ । ওরা যার সাথে কথা দেখা করতে এসেছে এই লোক সে নয় ।

অনিক মিশুকে একটু খোঁচা দিয়ে বলল

-ইনি কে ? আমাদের লোক কোথায় ?

মিশু অনিকের কথায় কান দিল না। এমন একটা ভাব করলো অনিকের কথা শুনতেই পায় নি। সে এক ভাবে এগিয়ে আসা মানুষটার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। মিশুর চোখে অন্য কিছু রয়েছে।

কালো জিন্স আর কালো শার্ট পরা মানুষটা ওদের সামনে এসে বসতে বসতে বলল

-কি ব্যাপার এতো জরুরি তলব?

মিশুর কন্ঠ যেন একট বদলে গেল। অভিমান ভরা কন্ঠে মিশু বলল

-আপনি আমার কথা কত শুনেন! ডাকলেই যেন আসেন!

সামনের মানুষটা হাসলো। অনিক অবাক হয়ে তার বন্ধুটির সাথে সামনে বসা মানুষটার কথোপকথন শুনতে লাগলো। স্পষ্ট অনিক বুঝতে পারছে যে সামনে বসা মানুষটাকে মিশু ভালবাসে। এই জন্য মিশু আজ পর্যন্ত কাউকে পাত্তা দেয় নি। কত মানুষ মিশুর পেছনে ঘুরে অথচ মিশু তাদেরকে একটাবার ঘুরেও দেখে না।

অতি-প্রাকৃত গল্পWhere stories live. Discover now