মিমির মেজাজটা সকাল থেকে খারাপ হয়ে আছে । মিমি নিশ্চিত জানে জয়িতা খুনের পেছনে তার স্বামী রাকিবের হাত আছে কিন্তু মিমির হাতে কোন প্রমাণ নেই । ইনভেস্টিগেশনে উঠে এসেছে যে জয়িতা এক্সিডেন্ট করেই মারা গেছে । কোন সন্দেহ নেই । এক্সিডেন্টের সাথেও দুর দুরান্তে স্বামী রাকিবের কো যোগ সুত্র নেই । তবুও মিমি জানে যে এটা কোন ভাবেই স্বাভাবিক মৃত্যু নয় । কেন একজন মানুষ রাত তিনটায় বাসা থেকে বের হয়ে সোজা গিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিবে? কোন কারণ কি আছে ?
মিমির গাটস ফিলিং এটা বলছে যে এই মৃত্যুর পেছনে অন্য কোন কারণ রয়েছে । সন্দেহ হওয়ার সব থেকে বড় কারণ হচ্ছে রাকিব হাসানের আগের বউটারও ঠিক একই ভাবে মৃত্যু হয়েছিলো । এই নিয়ে একটা কেসও হয়েছিলো । সুস্থ স্বাভাবিক মেয়ে ছিল । তারপর হঠাৎ একদিন মাথা খারাপ হয়ে গেল। ছাদ থেকে সোজা লাফ দিয়ে পড়লো পাশের জলাশয়ে । রাকিব তখন ব্যবসার কাছে সিলেট গিয়েছিলো । তাকে কোন ভাবেই মৃত্যুর সাথে সংযোগ করা যায় নি ।
সব কিছু পরিস্কার থাকা স্বত্ত্বেও মিমির মনের সন্দেহ কোন ভাবেই দুর হচ্ছে না । তার কেবল মনে হচ্ছে এর পেছনে কোন না কোন ব্যাপার আছেই । থাকতে বাধ্য ! কিন্তু কী সেই ব্যাপার সেটা সে কোন ভাবেই বের করতে পারছে না । এই কারণেই মেজাজটা আরও বেশি খারাপ হচ্ছে ।
সন্ধ্যা বেলা অফিস থেকে বের হয়ে পাশের ক্যান্টিনে চা খেতে গেল । আজকের মত তার ডিউটি শেষ । বাসায় যাওয়ার আগে এখান থেকে এক কাপ চা খাওয়ার অভ্যাস তার প্রতিদিনের । ক্যান্টিনটা ডিবির পাশে হলেও এখানে বাইরে থেকে অনেক মানুষ আসে চা খেতে । বিশেষ করে পাশেই বাংলাদেশ ব্যাংকের একটা অফিস আছে । সেখানকার লোকজন আছে । তাছাড়া ডিবিতে সারা দিন নানান লোকজন আসতেই আছে । সেই কারণে সব সময় লোকে ভরেই থাকে । আজও বেশ কিছু লোকজন বসে আছে । কোন টেবিলই ফাঁকা নেই । মিমি এদিক ওদিক তাকিয়ে কোনার দিকে একটা টেবিলে দেখতে পেল একজন বসে আছে চুপচাপ । সেই টেবিলের উল্টো দিকে গিয়ে বসলো । মিমি বসতে না বসতেই টেবিলে দুই কাপ এসে হাজির । কাপ দুটোই সামনে বসা মানুষটার সামনে রেখে ওয়েটার চলে গেল ।
YOU ARE READING
অতি-প্রাকৃত গল্প
Horrorমাঝে মাঝেই ভুতের গল্প লিখি । এখানেই তেমনি কিছু গল্প যুক্ত হবে । কিছু পুরাতন গল্পও এড হবে যেগুলো আগে লিখেছি । গল্প বেশি বড় হয়ে গেলে দুই পর্বে নয়তো এক পর্বেই শেষ হবে প্রতিটি গল্প । রাফায়েল সিরিজের সমস্ত গল্প এখানে পাওয়া যাবে ।