সুমন বিরক্ত হয়ে গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসে আছে । তবে বিরক্তিটা সে প্রকাশ করতে পারছে না । কারন ঠিক তার পেছনেই ডিরেক্টর সাহেব বসে আছে । তার পাশের সিটে বসে আছে নোভা । কানে হেড ফোন লাগানো থাকলেও তার চোখে একটা সজাগ দৃষ্টি সুমনের চোখ এড়ালো না । এই মেয়েটা সব সময় এমন গম্ভীর হয়ে থাকে । অবশ্য ওর যা পোস্ট সেখানে গম্ভীর আর সতর্ক না থেকে উপায় নেই ।
ওদের একেবারে পেছনের সিটে আরও দুজন অফিসার বসে আছে । সবার চোখেই সতর্ক দৃষ্টি । কেবল সুমনই বিরক্ত বোধ করছে । ওদের গতকালকে পিএম অফিসে একটা ভয়ানক ঘটনা ঘটে গেছে । এমন ঘটনা যে যার মাথা মন্ডু কিছুই বুঝা যাচ্ছে না । কে করেছে, তার থেকেও বড় ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে কাজটা ঘটেছে কিভাবে ।
কোথায় তাদের আরও তৎপর হওয়া উচিৎ, তা না, তারা বসে আছে কোন ওঝাকে ধরার জন্য । তার কাছে গেলেই নাকি সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে । সুমন ভাবতেও পারছে না ওর ডিরেক্টর স্যার এমন একটা কাজ করতে পারেন । এমন কি নোভাও কোন কথা বলছে না ।
সুমন আর থাকতে না পেরে বলল
-স্যার এভাবে আর কতক্ষন ? আমরা তো বাসাট ঠিকানা জানিই । ঢুকছি না কেন ?
-আরেকটু !
ডিরেক্টর হাফিজ আহমেদ বললেন কথাটা । গলার স্বর শুনে সুমন চুপ করে গেল । তিনি যে কতটা গম্ভীর হয়ে অপেক্ষা করছে সেটা সুমনের বুঝতে কষ্ট হল না । পাশ ফিরে তাকিয়ে দেখে নোভা ওর দিকে তাকিয়ে আছে । চোখ সজাগ দৃষ্টির স্থানে একটা সুক্ষ বিরক্তি দেখতে পেল । যেন বলছে, এই আহমকটাকে এখানে কে নিয়ে এসেছে !
সুমন চোখ সরিয়ে নিল । নিজেকে খানিকটা সামলেও নিল । ঠিক তখনই হাফিজ আহমেদ বললেন
-সময় হয়ে গেছে । লেটস গো !
সবাই যেন প্রস্তুতই ছিল । চিপা গলির ঠিক এক পাশে ওদের গাড়িটা দাড় করানো ছিল । রাত অনেক হয়েছে । চারিপাশে একেবারে শুনশান নিরবতা বিরাজ করছে । পুরান ঢাকার এই এলাকাটার একেবারে খুব দ্রুতই যেন শুয়ে পড়ে । সুমনের মনে হচ্ছিলো যেন ওরা ঢাকার বাইরের কোন গ্রামে প্রবেশ করে ফেলেছে ।
YOU ARE READING
অতি-প্রাকৃত গল্প
Horrorমাঝে মাঝেই ভুতের গল্প লিখি । এখানেই তেমনি কিছু গল্প যুক্ত হবে । কিছু পুরাতন গল্পও এড হবে যেগুলো আগে লিখেছি । গল্প বেশি বড় হয়ে গেলে দুই পর্বে নয়তো এক পর্বেই শেষ হবে প্রতিটি গল্প । রাফায়েল সিরিজের সমস্ত গল্প এখানে পাওয়া যাবে ।