সরু গলিটার ভেতরে গাড়ি তিনটা দাঁড়িয়ে আছে কিছু সময় ধরে৷ ঘড়িতে দশটা বাজতে আরও কয়েক মিনিট বাকি আছে। এই সময়ে পুরান ঢাকার এই গলির মাঝে এরকম দামি তিনটা গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকা কিছুটা বেমানান।
তিনটা গাড়ির মাঝের গাড়িতে বসে আছেন আরমান এইচ আহমেদ। এদেশের একজন নাম করা শিল্পপতি। তার সময়ের দাম অনেক তারপরও তিনি এখানে বসে অপেক্ষা করছেন। কারন তাকে বলা হয়েছে ঘড়িতে ঠিক দশটা বাজলেই কেবল দরজায় কড়া নাড়তে৷ এক মিনিট আগেও নয়৷ দশটা বাজতে এখনো কয়েক মিনিট বাকি আছে। তাই তিনি অপেক্ষা করছেন।
আরমান আহমেদ আপন মনে হঠাৎ হেসে উঠলেন। শেষ কবে তিনি কারো জন্য অপেক্ষা করেছেন সেটা মনে করার চেষ্টা করলেন কিন্তু মনে করতে পারলেন। তার জন্য সবাই অপেক্ষা করে আর আজকে তিনি কিনা অপেক্ষা করছেন একটা পুরানো ভাঙ্গা বাড়ির সামনে, এক ভুতের ওঝার সাথে দেখা করার জন্য।
একবার মনে হল এসবের কোন মানে নেই। এখনই তিনি ড্রাইভারকে বলেন গাড়ি ঘুরিয়ে চলে যেতে কিন্তু পরক্ষণেই কিছু মনে পড়ে গেল তার৷ তিনি তার সর্ব শক্তি লাগিয়েছেন গত সাত দিনে। ফলাফল একেবারে শূন্য। তিনি কিছু চাইবেন আর সেটা হবে না, এমনটা এই দেশে হতেই পারে না। শিল্পপতির পরিচয়ের আড়ালে তার আরও একটা পরিচয় আছে। তার চোখের আড়ালে কিছু হতেই পারে না কখনো। আর সেই আরমান আহমেদ কিছু করতে পারেন নি। পারছেন না। ব্যাপারটা স্বাভাবিক না। তিনি এটা পরিস্কার বুঝতে পেরেছেন। নয়তো তিনি নিজেই সমাধান করে ফেলতেন।
-স্যার, সময় হয়েছে। গুলি করে দিল৷ অবশ্য এতে তিনি ভয় পান না। তার সাথে যা ঘটে গেছে তাতে এখন তার কিছুই যায় আসে না। তিনি খানিকটা মরিয়া৷ দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকতে যাবেন, এমন সময় পেছন থেকে তার সিকিউরিটি অফিসার বলল,
-স্যার, এভাবে ঢুকবেন?
তিনি ফিরে তাকালেন। রাকিব তার পেছনেই আছে৷ তিনি বললেন,
-তোমরা বাইরে থাকো। আমার কিছু হবে না।
সিকিউরিটি অফিসার কিছু বলল না আর। বাইরে পজিশন নিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। আরমান আহমেদ ঘরের ভেতরে প্রবেশ করলেন।
YOU ARE READING
অতি-প্রাকৃত গল্প
Horrorমাঝে মাঝেই ভুতের গল্প লিখি । এখানেই তেমনি কিছু গল্প যুক্ত হবে । কিছু পুরাতন গল্পও এড হবে যেগুলো আগে লিখেছি । গল্প বেশি বড় হয়ে গেলে দুই পর্বে নয়তো এক পর্বেই শেষ হবে প্রতিটি গল্প । রাফায়েল সিরিজের সমস্ত গল্প এখানে পাওয়া যাবে ।