দ্য ইন্সিডেন্ট

592 24 5
                                    

-গাড়ি থামান ।

রাত তিনটা পার হয়ে গেছে । চারদিক বেশ শান্ত হয়ে গেছে । আর যমুনা সেতুর উপরের পরিবেশটা আরও বেশি শান্ত । প্রায় পাঁচ কিলোমিটা রাস্তাটা জহির শেখের বেশ পছন্দ । যদিও একটা গতিসীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে, তবে এই রাতের বেলা সেটা না মানলেও চলে । জহির শেখ যখন বাসটার গতি আরও বাড়াতে যাবে তখনই লক্ষ্য করলো একজন সিট ছেড়ে ইঞ্জিন কাভারের পাশে এসে দাড়িয়েছে । তারপর তার দিকে তাকিয়ে বলল, গাড়ি থামান !

জহির শেখ সেদিনে না তাকিয়েই বলল, এখানে গাড়ি থামানো যাবে না । সেতুর উপর গাড়ি থামলে জরিমানা !

কন্ঠটা আবার বলল, গাড়ি থামান বলছি ।

এবার কথাটা একটু ধকমের সুরে শোনালো । জহির শেখ এবার কন্ঠের মালিকের দিকে তাকালো । পুরো বাসের আলো বন্ধ । প্রায় সবাই ঘুমিয়ে । এমন কি হেলপার বেটাও ঘুমিয়ে পড়েছে । অবশ্য এই সময়ে তার জেগে থাকার কোন কারন নেই । জহির শেখ দেখলো ছেলেটার বয়স অল্প । বিশ বাইশের বেশি না । তার বড় ছেলের বয়সীই হবে । জহির শেখ এবার একটু বিরক্ত হল। সে যথা সম্ভব বিরক্ত নিয়েই বলল, দেখেন কোন ভাবেই সেতুর উপর গাড়ি থামানো যাবে না । আপনে নামতে চান আমি নামায়ে দিবো তবে সেতু পার হই তারপর । এর আগে না !

জহির শেখ আবারও নিজের কাজে মন দিলেন ! এমন পাগল মানুষ দু একটা দেখা যায় । বিশেষ করে অনেক মানুষ আছে যারা এই সেতুর উপর নামতে চায় । কিন্তু প্রশাসনের কঠিন নিষেধ আছে । কোন ভাবেই সেতুর উপর গাড়ি থামানো যাবে না । তার ড্রইভিং লাইসেন্স বাতিল হয়ে যেতে পারে ! সে কোন ভাবেই গাড়ি থামাবে না ।

কিন্তু তখনই জহির শেখ অবাক হয়ে লক্ষ্য করলেন গাড়ির গতি কমে আসছে । তিনি এক্সেলেরেটরে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করলেন কিন্তু কোন কাজ হল না । আপনা আপনি গিয়ার বদলে গেল আর তিনি তখনই অনুভব করলেন ব্রেকটা আপনা আপনি দেবে যাচ্ছে । গাড়ির গতি কমে আসছে । জহির শেখ অসহারের মত কিছু সময় এটা ওটা নাড়াচাড়ার চেষ্টা করলেন কিন্তু কোন লাভ হল না । বাসটা আস্তে আস্তে থেমে গেল একেবারে ।

অতি-প্রাকৃত গল্পWhere stories live. Discover now