(গল্পটা কিঞ্চিৎ ১৮ প্লাস)
অনেক দিন আগের কোন সময়
মেয়েটি উল্টে পড়ে গেল উচু হয়ে থাকা গাছের শিকড়ে আটকে । হাত দুটো পেছন দিক দিয়ে বাঁধা থাকার কারনে উপুর হয়ে পড়লো মাটির উপর । যখন তাকে আবারও তোলা হল তখন মুখ দিয়ে রক্ত পরা শুরু হয়েছে । একজন একটা কাপড় নিয়ে এগিয়ে আসতে গেল রক্ত মোছার জন্য । কিন্তু দলের সর্দার চোখ গরম করে তাকাতেই সে পিছিয়ে গেল ।
সবাই মেয়েটির দিকে তাকাচ্ছে কিন্তু সার্দারের জন্য কেউ কিছু করতে পারছে না । মেয়েটির মাকে গ্রামেই রেখে আসা হয়েছে । তা মা যদি আজকে এখানে থাকতো তাহলে সর্দারের দৃষ্টি উপেক্ষা করেই এগিয়ে আসতো । অন্য কারো সাহস নেই সর্দারের উপরে কোন কথা বলার ।
সর্দার আবার বলে উঠলো
-বেশি দেরি করা যাবে না । কালকের ভেতরই আমাদের পৌছাতে হবে ।
-কিন্তু সর্দার সংজুর অবস্থা খুব বেশি ভাল না তো । ও কি পারবে ?
-ওকে পারতেই হবে । ও যদি না পারে তাহলে আমরা কেউ বাঁচবো না ।
আর কেউ কোন কথা বলল না । আবারও হাটা শুরু হল । কারো কিছু বলারও নেই । যেখানে সর্দার স্বয়ং নিজের মেয়ের প্রতি এমন আচরন করতে পারছেন সমগ্র টোংগার ভালর জন্য সেখানে অন্য কারো কোন কথা থাকতে পারে না । আর সংজু নিজেই এগিয়ে এসেছে এই কাজটা করার জন্য ।
কিন্তু সংজু কয়েক কদমও হাটতে পারলো না । আবারও উল্টে পড়লো । এবার আর উঠলো না সে ! মাটিতে পড়েই রইলো ।
এক
রাত হলেই জামির ভয় করতে শুরু করে । প্রতিদিন জামি তার মাকে বলে রাতে যেন ওর সাথে থাকে কিন্তু এই হাসপাতালে রাতে রোগী ছাড়া আর কারো থাকার কোন নিয়ম নেই । প্রতি ঘন্টায় নার্স এসে সারা রাত রাউন্ড দিয়ে যায় । তবুও জামির ভয় ভয় লাগে । মনে হয় যেন কেউ ওকে দেখছ ওর দিকে ক্রুদ্ধ চোখে তাকিয়ে রয়েছে ।
আজকেও যখন নার্স শেষ বারের মত ওর কেবিন থেকে ঘুরে গেল তখনও জামি জেগে ছিল । সেই অনুভুতিটা হচ্ছিলো ওর । তবে সারা দিন জেগে থাকার জন্য ওর চোখ লেগে এসেছিলো কিছু সময়ের জন্য । তারপরই ওর চোখ খুলে গেল।
YOU ARE READING
অতি-প্রাকৃত গল্প
Horrorমাঝে মাঝেই ভুতের গল্প লিখি । এখানেই তেমনি কিছু গল্প যুক্ত হবে । কিছু পুরাতন গল্পও এড হবে যেগুলো আগে লিখেছি । গল্প বেশি বড় হয়ে গেলে দুই পর্বে নয়তো এক পর্বেই শেষ হবে প্রতিটি গল্প । রাফায়েল সিরিজের সমস্ত গল্প এখানে পাওয়া যাবে ।