শিমুর দিনটা যে এভাবে শেষ হবে সেটা সে কোন দিন ভাবেও নি । আজকে সকালের দিনটা কত চমৎকার ভাবেই না শুরু হয়েছিলো ।পছন্দের মানুষটার সাথে সকাল বেলাতেই দেখা । ওর দিকে তাকিয়ে কী চমৎকার ভাবে হাসি দিয়েছিলো । সেই হাসির জের ছিল পুরো দিন ধরে । ক্যাম্পাসেও আজকে বেশ চমৎকার একটা ঘটনা ঘটেছে । সব মিলিয়ে পুরো দিনটা ছিল একেবারে মনের মতন । কিন্তু এখন ? এমন একটা বিভীষিকার সামনে সে পরবে কোন দিন ভাবতেও পারে নি । শিমু ভয়ে একেবারে কাঠ হয়ে গেছে । বুকের ভেতরে ঢিপঢাপ করছে । ব্যাগের ভেতরে মোবাইল রয়েছে । কিন্তু ওর দিকে তাক করা পিস্তলটা দেখে সেটা বের করার কোন সাহস ওর হল না ।
গাড়িটা কোন দিকে ছুটে চলছে সেটা শিমু জানে না । মাইক্রো গাড়িতে মোট চারজন রয়েছে । শিমুর পাশেই একজন বসে আছে । তার হাতে পিস্তল । সে একটু সতর্ক ভাবেই বসে আছে । তার চোখ সামনের দিকে । সামনে ড্রাইভারের পাশে সম্ভবত দলের প্রধান বসে আছে । তার চোখ সামনের দিকে । সে কোন কিছু নিয়ে চিন্তিত ।
শিমু হঠাৎ বলল, আমরা খুব বেশি বড়লোক নই । আমার বাবা আপনাদের খুব বেশি টাকা দিতে পারবে না । প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন ।
পাশে বসা লোকটা বলল, চুপ $#^&। কোন কথা না । কথা বললে গুলি করে দেব ।
লোকটা আরও কিছু বলতে যাচ্ছিলো তার আগেই নেতা মানুষটা বলে উঠলো, জগলু । তোকে না বলেছি ভাষা ঠিক করতে ।
-সরি বস ।
নেতা এবার শিমুর দিকে ফিরে তাকালো । শিমুকে এই মানুষটাই গাড়ি পর্যন্ত নিয়ে এসেছে । ক্যাম্পাস থেকে বের হচ্ছিলো তখনই দেখলো জিন্সের প্যান্ট, আর সাদা শার্ট পরা একটা ৩০/৩২ বছরের ছেলে ওর দিকে এগিয়ে এল । এগিয়ে এসে বলল, তুমি শিমু না? আফরোজা শিমু?
অপরিচিত মানুষ মুখে নিজের নাম শুনে একটু অবাক হল সে । বলল, হ্যা । কেন?
লোকটা একটু হেসে বলল, আমি তোমার ফেসবুক ফ্রেন্ড লিস্টে আছি । এখানে আমার ছোট ভাগ্নেকে ভর্তি করাতে এসেছি । তোমাকে দেখতে পেলাম ।
শিমুদের ক্যাম্পাসে সামার ফলে শিক্ষার্থী ভর্তি চলছে । আজকেও অনেকে এসেছে । শিমু কী বলবে ঠিক বুঝতে পারলো না । তবে ওর ফ্রেন্ড লিস্টে যেহেতু আছে তাই মুখের উপরে কিছু না বলে চলেও যেতে পারলো না । রাস্তা দিয়ে তার পাশেই হাটতে লাগলো । লোকটা টুকটাক কথা বলতে লাগলো । বিশেষ করে ক্যাম্পাসের কেমন পরিবেশ, ক্যাম্পাস বুলিং হয় কিনা স্যারেরা কেমন এই সব । শিমুর কাছে যা খুব স্বাভাবিকই মনে হয়েছিলো । কিন্তু এরপর যা হল সেটার জন্য সে মোটেই প্রস্তুত ছিল না । কখন যে একটা মাইক্রবাস ঠিক ওদের পাশে চলে এসেছে শিমু সেটা একদম টের পেল না । তারপর লোকটা কেবল আস্তে করে নিজের পিস্তল বের করলো । ঠান্ডা গলাতে বলল, চুপচাপ উঠে পড় । চিৎকার করলে গুলি করে চলে যাবো । ব্যাস !
YOU ARE READING
অতি-প্রাকৃত গল্প
Horrorমাঝে মাঝেই ভুতের গল্প লিখি । এখানেই তেমনি কিছু গল্প যুক্ত হবে । কিছু পুরাতন গল্পও এড হবে যেগুলো আগে লিখেছি । গল্প বেশি বড় হয়ে গেলে দুই পর্বে নয়তো এক পর্বেই শেষ হবে প্রতিটি গল্প । রাফায়েল সিরিজের সমস্ত গল্প এখানে পাওয়া যাবে ।