সন্ধ্যা থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে । আজকে রাতের মধ্যে আর থামবে বলে মনে হচ্ছে না । থেমে থেমেই মেঘ ডেকে উঠছে । ঢাকা শহরে বৃষ্টির শব্দ ঠিক মত শোনা যায় না । বৃষ্টিতে মাটির গন্ধটাও ঠিক মত বোঝা যায় না । কিন্তু মফস্বলের এই অখ্যাত এলাকাতে সেই বৃষ্টিকে যেন পুরোপুরি উপভোগ করা যাচ্ছে ! তরী আর ওর দুই বন্ধু ফারিহা আর তনিকা সেই কাজটাই করছে এখন । ঢাকার বৃষ্টির থেকে এই মফস্বলের বৃষ্টি যে আলাদা ভাবে উপভোগ করা করা যায় সেটা হয়তো এখানে না আসলে ওরা জানতোই না !
তরীর বাবা স্থানীয় থানার ওসি। পুলিশের চাকরি বিধায় কয়েকদিন পরপরই বদলি হতে হয়। একটা সময় পর্যন্ত তরীরাও ওর বাবার সাথে সাথে বিভিন্ন জায়গাতে গিয়ে হাজির হত। কিন্তু মাধ্যমিকে ভর্তি হওয়ার পরে আর বাসা বদলায় নি। তখন কেবল ওসি সাহেব নিজেই বদলী হয়ে যেত। তরীরা থাকতো একই জায়গাতে। সেখানে ওদের তিন জনের পরিচয়। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব। পুরোটা স্কুল আর কলেজ তিনজন একই সাথে কাটিয়েছে তারপর উচ্চ মাধ্যমিকের পর তিন জন গেছে তিন দিকে। তবুও ফোনে তিন জনের সাথে নিয়মিতই কথা বার্তা হত। দেখাও হত মাঝে মধ্যে তবে আগের মত সেই এক সাথে দেখা হওয়াটা আর হত না।
তিনজন ই যখন নিজেদের পড়াশুনা নিয়ে হাপিয়ে উঠেছে তখনই একটা সুযোগ চলে এল। তিনজনেরই এক সাথে ক্যাম্পাস ছুটি হয়। ব্যাস আর চিন্তা ভাবনা না করে চলে এল তরীর বাবার কাছে। মাত্র কদিন আগেই তরীর বাবা এখানে পোস্টিং হয়ে এসেছে। এইবারই তরীর প্রথম আসা এখানে।
আজকে ওদের বাড়ির উঠানে বার্বি কিউ করার কথা ছিল । কিন্তু দুপুর থেকে টিপটিপ বৃষ্টি তারপর সন্ধ্যার পর ঝুম বৃষ্টির জন্য কিছুই হয়ে উঠলো না। এদিকে বিদ্যুৎ যে সেই কখন গেছে এখনও আসার নাম নেই। নতুন বাসা বলে এখনও আইপিএস লাগানো হয় নি। মোম জ্বালিয়েই তিনজন বসে ছিল ড্রয়িং রুমে। তখনই তনিকা প্রস্তাব করলো
-চল ভুতের গল্প করা যাক।
ফারিহা সবার আগে চিৎকার করে উঠলো
-এই খবরদার তনিকা, তুই কিন্তু আমার কাছে মাইর খাবি।
তিনজনের ভেতরে ফারিহার ভুতের ভয়টা সব থেকে বেশি । বই পড়ার নেশা হওয়ার সত্ত্বেও ফারিহা কখনই ভুতের বই পড়ে না ।
DU LIEST GERADE
অতি-প্রাকৃত গল্প
Horrorমাঝে মাঝেই ভুতের গল্প লিখি । এখানেই তেমনি কিছু গল্প যুক্ত হবে । কিছু পুরাতন গল্পও এড হবে যেগুলো আগে লিখেছি । গল্প বেশি বড় হয়ে গেলে দুই পর্বে নয়তো এক পর্বেই শেষ হবে প্রতিটি গল্প । রাফায়েল সিরিজের সমস্ত গল্প এখানে পাওয়া যাবে ।