এক
আরেকটু হলেই ধাক্কা লেগে যেত মিরিনার সাথে । কোন রকমে সংঘর্ষটা এড়ালাম । এতো তাড়াহুড়ার ভেতরে ছিলাম যে সামনে দিয়ে যে মেয়েটা এগিয়ে আসছে সেটা খেয়ালই করি নি । তবে মিরিনার দিকে তাকিয়ে মন হল ওর মোটেই অবাক হয় নি । বরং খানিকটা হতাশ হয়েছে, ধাক্কাটা লাগলেই মনে হয় ভাল হত । আমি বললাম
-সরি ।
-কেন ?
-না মানে যদি ধাক্কাটা আমি ইচ্ছে করে দিতে চায় নি । একটু তাড়াহুড়ার ভেতরে আছি তো ।
মিরিনা হাসলো কেবল । তারপর আর কিছু না বলে ঘুরে চলে গেল সিড়ির দিকে । আমি তখনও দাড়িয়ে আছি । আজ ওকে অন্য দিনের মত লাগছে না । মেয়েটার হয়েছে কি ! এমন তো থাকে না । সমস্যাটা কি !
কয়েক ধাপ নেমে মিরিনা আমার দিকে ফিরে তাকিয়ে বলল
-আপনার প্রেজেন্টেশনে দেরি হয়ে যাচ্ছে না ? দাড়িয়ে আছেন কেন ? আর ধাক্কাটা এখনও লাগে নি কিন্তু তবুও সরি বলে দিলেন । ধাক্কাটা পাওয়া রইলো ।
আমি কেবল বোকার মত দাড়িয়েই রইলাম আরও কয়েকটা মুহুর্ত । তারপর মনে হল এতো কিছু ভাবার নেই আমার হাতে । আর মিনিট খানেকের ভেতরে আমার প্রেজেন্টেশন শুরু হবে । আমি মিটিং রুমের দিকে দৌড় দিলাম । দৌড়াতে দৌড়াতেই একটা ব্যাপার আমার মাথায় খুব জোরে ধাক্কা মারলো ।
মেয়েটা আজকে কি রংয়ের পোষাক পরে ছিল ?
সবুজ কামিজ আর কালো জিন্স ! মেয়েটা অন্যান্য দিনের মত মোটেই লাগছিলো না কারন মেয়েটা আজকে চেহারায় একদম মেকাপ দেয় নি । অথচ মিরিনার কড়া মেকাপ দিয়ে অফিসে আসার অভ্যাস । আমার মাথাটা ঠিক কাজ করছে না । কয়েকবার মনে হল যে এটা হতে পারে না । নেহৎই এটা একটা কাকতালীয় কোন একটা ব্যাপার মাত্র আর কিছু না । আমি এখন অন্য কিছু ভাবতে চাচ্ছি না । আমার এখন সম্পূর্ণ ফোকাস হওয়া উচিৎ সামনের প্রেজেন্টেশন টা । এটার উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে ।
কিন্তু না চাইলেই অনেক কিছু চলে আছে চিন্তার ভেতরে । মাথার ভেতরে কেবল একটা কথাই আসতে লাগলো কোন ভাবে কি এটার সাথে ওটার কোন সম্পর্ক আছে ?
ČTEŠ
অতি-প্রাকৃত গল্প
Hororমাঝে মাঝেই ভুতের গল্প লিখি । এখানেই তেমনি কিছু গল্প যুক্ত হবে । কিছু পুরাতন গল্পও এড হবে যেগুলো আগে লিখেছি । গল্প বেশি বড় হয়ে গেলে দুই পর্বে নয়তো এক পর্বেই শেষ হবে প্রতিটি গল্প । রাফায়েল সিরিজের সমস্ত গল্প এখানে পাওয়া যাবে ।