জয়িতার সন্ধ্যার সময়টা কেমন যেন বিষণ্ণ মনে হয় । পুরো দিনের ভেতরে এই সময়টা এলেই ওর মন আপনা আপনিই উদাস হয়ে ওঠে। সারা দিনের সব কথা মনে পড়তে থাকে আস্তে । তারপর কোন কারন ছাড়াই মনটা খারাপ হতে থাকে । ওর কাছে এই রাতের শুরুটা মোটেই ভাল লাগে না । বারবার মনে হয় এই রাতই পুরো দিনের জন্য অশুভ কিছু বসে আনে ।
অবশ্য এমন একটা মনভাব গড়ে ওঠার পেছনে যুক্তিযুক্ত কারন আছে । জয়িতার জীবনের সব খারাপ ঘটনা গুলো এই বিকেল আর রাতের সংযোগ সময়ের মধ্যেই হয়েছে । এই সময়টার মধ্যে যখনই কিছু ঘটতে যায় জয়িতার মনে কু ডেকে ওঠে । ও প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় যে খারাপ কিছু হতে চলেছে ।
আজ সন্ধ্যা বেলা যখন জায়েদের হাক ডাক শুনতে পেল তখনই মনে আবার খারাপ কিছু হতে চলেছে । কয়েক সেকেন্ড পরেই জায়েদকে ঘরে ঢুকতে দেখলো । ওর মুখের ভাব দেখেই মনে হল খারাপ কিছু একটা হয়েছে কিংবা হতে চলেছে ।
জায়েদ ঘরে ঢুকেই বলল
-আপু শুনেছিস ঐ ব্যাটার কথা । সলিমের কাছে বলে নাকি সে এখানে আসতে পারবে না । আমাদের নাকি ওখানে যেতে হবে । সাহস কত বড় একবার ভেবে দেখ ! ঐ ব্যাটাকে যদি আমি ....
জয়িতা নিজের ভেতরে একটু স্বস্তি অনুভব করলো । এমন কোন ঘটনা ঘটে নি । অন্তত এখনও পর্যন্ত তো ঘটে নি । জয়িতা বলল
-এভাবে চিৎকার করছিস কেন ?
-চিৎকার করবো না ? তাকে এখানে ডাকা হয়েছে আর সে আসবে না ?
-সে আমাদের বেতন ভুক্ত কর্মচারি না যে ডাকলেই তাকে ছুটে আসতে হবে !
জায়েদ খানিকটা সময় অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো জয়িতার দিকে । নিজের আপন বড় বোনের কথা যেন ও ঠিক বিশ্বাস করতে পারছে না । আরও কিছু সময় অবাক হয়ে তাকিয়ে থেকে জায়েদ ঘর থেকে বের হয়ে গেল । ওর মুখের ভাব জয়িতার ভাল লাগলো না । জায়েদ ঠিক তার বাবার মতই বদ মেজাজী । অল্পতেই মাথা গরম হয়ে ওঠে । পদে পদে কেবলই ঝামেলা বাঁধায় । বাবার প্রভাব প্রতিপত্তির কারনে অবশ্য সেই ঝামেলা থেকে সহজেই বেরিয়ে আসতে পারে । কিন্তু যদি বাবা না থাকে !
YOU ARE READING
অতি-প্রাকৃত গল্প
Horrorমাঝে মাঝেই ভুতের গল্প লিখি । এখানেই তেমনি কিছু গল্প যুক্ত হবে । কিছু পুরাতন গল্পও এড হবে যেগুলো আগে লিখেছি । গল্প বেশি বড় হয়ে গেলে দুই পর্বে নয়তো এক পর্বেই শেষ হবে প্রতিটি গল্প । রাফায়েল সিরিজের সমস্ত গল্প এখানে পাওয়া যাবে ।