প্রতিদিন টিউশানি থেকে ফিরতে একটু দেরি হয়ে যায়। বিশেষ করে নতুন আরেকটা টিউশনি নেওয়ার পর থেকে কোন ভাবেই সাড়ে দশটার আগে বাসায় ফেরা হয় না। তবে আজকে একটু বেশিই দেরি হয়ে গেল। যখন হাউজিং এ পৌছালাম তখন সাড়ে এগারোটা পার হয়ে গেছে। হাউজিং এলাকা ততক্ষণে ঠান্ডা হয়ে গেছে। মানুষজন নেই বললেই চলে। প্রায় সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। আমি দ্রুত হোটেলের দিকে পা বাড়ালাম। আজকে আর হোটেলে বসে খাওয়ার উপায় নেই। খাবার বাসায় নিয়ে যেতে হবে।
খাবার হাতে নিয়ে যখন বাসার পথ ধরেছি তখনই বিড়ালটাকে দেখতে পেলাম। সামনের দুই পা দিয়ে কোন মতে এগিয়ে চলছে। নিশ্চয়ই কেউ শক্ত কিছু দিয়ে বিড়ালটার মেরুদণ্ডে শক্ত করে আঘাত করেছে। ফলে সেটা ভেঙ্গে গেছে। আমার বিড়াল এমনিতেই খুব পছন্দ। এই অবস্থা দেখে খুব মায়া লাগলো।
কেমনে কাজটা করলো?
দেখলাম বিড়ালটা হাটা বন্ধ করে দিয়েই নেতিয়ে পড়লো। কেমন করুন স্বরে ডাকতে শুরু করলো। আমার এখানে কিছুই করার নেই। আশে পাশে কোন পশু চিকিৎসালয় আছে কি না আমার জানা নেই। তবুও বিড়ালকে ওখানে অভাবে ফেলে আসতে পারলাম না। পায়ে পায়ে এগিয়ে গেলাম।
বসে আস্তে আস্তে আদর করতে লাগলাম। মনে হল বিড়ালটা আর বেশি সময় বাঁচবে না। আহারে! অবুঝ প্রানীটাকে কে এমন ভাবে মারলো! তখনই মনে হল বিড়ালটার নিশ্চয়ই কিছু খাওয়া হয় নি। এই শরীর নিয়ে কিছু যে খুজে খাবে সেটারও উপায় নেই। খানিকট ইতস্তত করলেও নিজের জন্য কিনে আনা ভাত আর মাংশ প্যাকেট থেকে খুলে বিড়ালটার সামনে রাখলাম। কিছুটা সময় আমার চোখের দিকে এক ভাবে তাকিয়ে রইলো বিড়ালটা। তারপর খেতে শুরু করলো।
তখনই আমার খেয়াল হল বেশ খানিকটা সময় পার হয়ে গেছে। রাস্তাঘাট একেবারেই নির্জন। মানুষজন নেই বললেই চলে। তবে একজনকে দেখতে পেলাম আমার থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে আছে। আমার দিকেই তাকিয়ে আছে। মেয়েটির পরনে ধবধবে সাদা সেলোয়ার, সাদা ওড়না আর সাদা লেগিংস পরা পরা। আমার দিকে মেয়ে এগিয়ে এসে বলল
-আপনি নিজের খাবারটা বিড়ালকে দিয়ে দিলেন? রাতে কি খাবেন?
বুঝলাম মেয়েটা নিশ্চয়ই আশে পাশেই কোথাও থাকে। প্যাকেট খুলে বিড়ালটাকে খাবার দিতে দেখেছে। আমি বললাম
YOU ARE READING
অতি-প্রাকৃত গল্প
Horrorমাঝে মাঝেই ভুতের গল্প লিখি । এখানেই তেমনি কিছু গল্প যুক্ত হবে । কিছু পুরাতন গল্পও এড হবে যেগুলো আগে লিখেছি । গল্প বেশি বড় হয়ে গেলে দুই পর্বে নয়তো এক পর্বেই শেষ হবে প্রতিটি গল্প । রাফায়েল সিরিজের সমস্ত গল্প এখানে পাওয়া যাবে ।