দুর্ঘটনার পর থেকে মিরা কেমন যেন চুপ হয়ে গেছে । আগের মত আর কথা বলে না । সারাক্ষণই কি যেন ভাবে ! আমার সাথেও ঠিক মত কথা বলে না । অবশ্য এই জন্য আমি ওকে কোন দোষ দেই না । ঐদিন আমার কারনেই দুর্ঘটনাটা ঘটেছিলো । মিরা আমাকে বারবার আস্তে চালাতে বলছিলো কিন্তু আমি ওর কথায় কান না দিয়ে নিজের ইচ্ছে মত গতি তুলছিলাম গাড়িতে । তারপর একটা সময়ে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে গাড়িটা সোজা গিয়ে ধাক্কা লাগে পাশের একটা গাছে ।
আর কি ভাগ্য যে আমার দোষে এক্সিডেন্ট টা হল আর আমারই বলতে গেলে কোন ক্ষতি হল না । ধাক্কা লাগার সাথে সাথে আমি কেবল সামনের গ্লাসটা ভেঙ্গে বাইরে বের হয়ে এলাম । সিট বেল্ট বাঁধার অভ্যাস আমার কোন দিনই ছিল না । ভাগ্যিস ছিল না । নয়তো ঐদিন সবার আগে আমি মারা যেতাম । কারন যে গাছ টার সাথে আমার গাড়ির ধাক্কা লেগেছিলো সেটা থেকে বেশ বড় একটা ডাল ভেঙ্গে পড়েছিলো গাড়ির উপর । আমি যদি আর ৩০ সেকেন্ড দেরী করতাম তাহলে হয়তো গাড়ির ভেতরেই চ্যাপ্টা হয়ে যেতাম ।
মিরা গাড়ির ভেতরেই ছিল । ওর জীবন ঠিকই রক্ষা পেয়েছিলো তবে ওর বাঁ পাটা তিন জায়গায় ভাঙ্গেছিলো । আর কাটা ছেড়ার কথা তো বাদই দিলাম । ওরও বেশ বড় ক্ষতি হতে পারতো কিন্তু হয় নি । এবং মিরা এই জন্য আমাকে দায়ী করে । করাই উচিৎ । আমি ওকে দোষ দেই না ।
অফিস থেকে ফিরে এসেই আমি মিরার রুমে গিয়ে হাজির হলাম । মিরা খাটের সাথে হেলান দিয়ে আছে । ও একটা বই কোলের উপর ধরে বসে আছে । তবে আমার কেন জানি মনে হল ও বই পড়ছে না । অন্য কিছু ভাবছে । আমি পাশে বসতেই আমার দিকে তাকালো । আমি একটু হাসলাম । তারপর বললাম
-এখন কেমন লাগছে ?
-ভাল ।
-ব্যাথা এখনও আছে ?
-নাহ । আপাতত সব ঠিক আছে । পায়ের ব্যান্ডেজ টা খুললে আগের মত হয়ে যাবে সব ! তোমার অফিস কেমন ছিল ?
-ওকে !
তারপর আমি ওর কপালে একটা ছোট্ট চুমু খেলাম । তারপর বললাম
-আই এম সরি ।
মিরা একটু শুকনো হাসি দিয়ে বললাম
YOU ARE READING
অতি-প্রাকৃত গল্প
Horrorমাঝে মাঝেই ভুতের গল্প লিখি । এখানেই তেমনি কিছু গল্প যুক্ত হবে । কিছু পুরাতন গল্পও এড হবে যেগুলো আগে লিখেছি । গল্প বেশি বড় হয়ে গেলে দুই পর্বে নয়তো এক পর্বেই শেষ হবে প্রতিটি গল্প । রাফায়েল সিরিজের সমস্ত গল্প এখানে পাওয়া যাবে ।